দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও দেড় বছরের বেশি সময় বাকি। ২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচন ও সংলাপ নিয়ে কথা বলছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, সরকারের পরিবর্তন চায়। এমন অবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (২২ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না সেটা গতবারও বলেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে ঠিকই গেছেন নির্বাচনে। সময় এলে ঠিকই যাবেন কিন্তু এখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করছেন।
বায়দুল কাদের বলেন, সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। চিৎকার করে লাভ নেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। এটাই নিয়ম, এর বাইরে অন্য কোনো পথ নেই। বিএনপিকে এ পদ্ধতি মেনেই নির্বাচনে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির কথায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবে না। বিএনপি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল। এর দায় নিয়ে তাদেরই পদত্যাগ করা উচিৎ।
এ সময় বিএনপিকে বাঁকা পথ পরিহার করে সোজা পথে ক্ষমতায় আসার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।