আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩ সালের মতো ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আবারও মাঠে নেমেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনিই নির্বাচিত হবেন। আমরা চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক।
শনিবার বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার সভায় বক্তব্য দেন।
বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল, আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী আর যুদ্ধাপরাধীদের দল থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
নির্বাচন ঠেকাতে তারেক রহমান বিদেশ থেকে হুকুম দিয়ে বিএনপির কর্মীদের দিয়ে বাস ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। যারা তারেক রহমানের হুকুম পালন করতে গিয়ে মানুষ হত্যা করছে তারাও পাপের ভাগিদার হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি জামায়াতের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে রেলে আগুন দিলো, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, রেলের বগি পড়ে সেখানে মানুষ মারা গেলো। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মারা গেলো। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল, তা ভাষা প্রকাশ করা যায় না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা যায়।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলায় ভার্চুয়ালি জনসভায় বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় ও ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) এবং মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
জাগরণ/দ্বাদশজাতীয়সংসদনির্বাচন/আওয়ামীলীগ/কেএপি