দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আর্থিকখাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা-সহ মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এই পরিকল্পনা হুট করে এসেছে তা নয়। ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সেসময় ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রদান করা হয়েছিল। উন্নত বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রথম ধাপ হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
সংসদে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে এমন ১১টি পরিকল্পনার সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামী নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে যথা সময়ে প্রকাশ করা হবে।’
১১ দফা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ‘বিনির্মাণ। আর স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিতে হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আর্থিকখাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা-সহ মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২৭ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত তিন মেয়াদে যত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এখনও কিছু কাজ অব্যাহত আছে। এবার নির্বাচিত হলে দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নতুন ইশতেহারে বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় মনে করেন, আওয়ামী-লীগ তার এই ১১ দফা দিয়েই সামনে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা ও সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাই যুক্ত করার মতো বিষয়গুলো খুব দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ ও রাজনৈতিক দক্ষতার কারণেই এইটা করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
জাগরণ/দ্বাদশজাতীয়সংসদনির্বাচন/আওয়ামীলীগ/কেএপি