২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ভালো কিছু দিতে পারার এখনই প্রকৃত সময় বলে জানিয়েছেন টাইগারদের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভালো-মন্দ মিলিয়ে আমার ক্যারিয়ার কেটেছে। আর এটাই ক্রিকেট। তবে এবার আমি মনে করি বিশ্বকাপের এই ফরম্যাটে আমাদের নক আউট পর্বে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। আর নকআউট পর্বে গেলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। কে কি ভাবছে জানি না। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক বড় চিন্তা করছি।
দলের হয়ে ভালো ফিনিশিং দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়াকে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুশফিক। তার মতে, শেষ ৪-৫ বছর আমি যেভাবে খেলছি বিশেষ করে শুধু রান করা নয়, স্ট্রাইক রোটেট করা, ভালো স্ট্রাইক রেটে খেলা, এসবে যথেষ্ট উন্নতি করেছি। তবে উন্নতির তো শেষ নেই। আমি শুধু চাইবো বিশ্বকাপে ওরকম পরিস্থিতি আসলে আমিই যেন সেই ব্যক্তিটা হই যে কি না ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বের করে নিয়ে আসতে পারি।
তিনি যোগ করেন, আমি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ক। এরপর কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমি ম্যাচ শেষ করে এসেছি। আসলে এটা নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমি। এবার ইচ্ছে আছে ভালো কিছু করার। আর ইংল্যান্ডে এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। চাইবো বিশেষ কিছু করতে। বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে পারার এটাই উপযুক্ত সময়।
সবসময় ফিটনেস নিয়ে অন্যান্য ক্রিকেটারদের তুলনায় বাড়তি কাজ করা নিয়ে মুশফিকের সুনাম আছে। তবে তিনি এটাও জানিয়ে রাখলেন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তিনি ফিটনেস নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, হালকা ইনজুরি ছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সময়টা কাজে লাগিয়েছি। বয়সটাতো আর কম হলো না!
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সফলতার সিংহভাগ সাফল্য যে ৫ সিনিয়র ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করেই আসছে, তা নিয়ে কারোরই কোনো সংশয় নেই। পঞ্চপাণ্ডব নামে পরিচিত এই পাঁচ ক্রিকেটারের দীর্ঘদিনের পথচলা এবং অভিজ্ঞতা টাইগারদের ক্রিকেটকে করেছে সমৃদ্ধ এবং গর্বিত।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদে ভর করে ধারাবাহিক সাফল্য পাওয়া বাংলাদেশ দল আজ ক্রিকেটবিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত। এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, আমরা যে একসাথে খেলছি সেটা একটা আশীর্বাদ।
তবে তরুণ ক্রিকেটারদের উপরেও আস্থা রাখছেম মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ক্রিকেটার। তিনি যোগ করেন, তরুণরাও কিন্তু অনেক উন্নতি করেছে। তারা যদি অবদান রাখতে পারে, তাহলে নিজেদের দিনে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি।
আরআইএস