অবসর ইস্যুতে বোমা ফাটালেন মাশরাফী 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০১৯, ০৩:৩৪ পিএম অবসর ইস্যুতে বোমা ফাটালেন মাশরাফী 
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ফাইল ফটো

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে আছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এই পুরোটা সময়েই বাংলাদেশ দলটাকে একটু একটু করে এক সূত্রে গেঁথে নেয়ার কাজটি তিনি করে গেছেন দারুণভাবে। এতদিন তাই দেশজুড়ে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সবাই। 

তবে এবারের বিশ্বকাপে এসে মাশরাফীর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাদের মতে, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়কের সময় এসেছে বিদায় বলার, দলে নতুনদের সুযোগ দেয়ার।

নিজের অবসর নিয়ে কী ভাবছেন মাশরাফী? বিশ্বকাপের পরেই তবে একেবারে থামতে চলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নড়াইল এক্সপ্রেসের অধ্যায়? এ প্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক রীতিমতো বোমাই ফাটিয়ে দিলেন। একাত্তর টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কেমনভাবে এবং কতদিন পর কাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি অবসরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি বলেন, নিজের ফর্ম ও সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ তৈরি হয়নি। সব খেলোয়াড়ই চায় দলের জন্য তার অবদান থাকুক। ম্যাচের শেষে আমিও চিন্তা করি যে একটা, দুইটা বা তিনটা উইকেট পেলে ভালো লাগতো। যদিও শেষ পর্যন্ত উইকেট পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু উইকেট না পাওয়াটাও হিসেব করা হয়; আর এটাই স্বাভাবিক।

এবারের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলা মাশরাফীর উইকেট সংখ্যা মাত্র একটি। বিষয়টি নিয়ে আপসেট ছিলেন কি না- জানতে চাইলে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, আপসেট অনুভব করিনি। একজন বোলারকে বিবেচনা করা হয় উইকেট দিয়েই। আবার একজন ব্যাটসম্যানকে তার রান দিয়ে বিবেচনা করা হয়। তাই উইকেট না পাওয়ার বিষয়ে নিজের কাছে ব্যক্তিগতভাবে খারাপ না লাগাটাও আসলে খারাপ। আমি যখন খেলছি, তখন খারাপ লাগা নিয়ে মাঠে যাওয়া ও খেলা এমন মানসিকতা নিয়ে কঠিন। আমিও মানুষ। তাই আমারও মাঠে যেয়ে নেতিবাচক চিন্তাগুলো মাথায় কাজ করে। এসব চিন্তা দূরে রাখতে কখনো পারি, কখনো পারি না। এর ভেতর দিয়েই যেতে হয়।

নিজের অবসর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে ক্রিকেট আমি খেলবো। আরও দেড় বছর খেলার সামর্থ্য আমার আছে। যখন আমি ক্রিকেট খেলা প্রথম শুরু করেছি, তখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চিন্তা করে তা করিনি। আমি যখন টি-২০ ছেড়েছি তা হুট করেই ছেড়েছি। এটাও (ওয়ানডে) আমি হুট করেই ছাড়বো এটা নিশ্চিত। কারণ আমার সিদ্ধান্তগুলো এরকমই হয়। ভেবে চিন্তে এটা হবে না। 

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার প্রশ্ন আসলে আমার কাছে মনে হয় অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে পরিবারকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। তাদের সঙ্গে আলোচনার একটা ব্যাপার আছে। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও আলোচনার ব্যাপার আছে। বোর্ড আমাকে সরাসরি কিছু বললেও সেটাও চিন্তায় আনতে হবে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমি নিজেই তা বিবেচনা করবো। 

আরআইএস 
 

আরও সংবাদ