শচীনের রেকর্ড ভেঙে সর্বকালের সেরা হওয়ায় চোখ আফগান কিশোরের 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০১৯, ০৯:২৭ পিএম শচীনের রেকর্ড ভেঙে সর্বকালের সেরা হওয়ায় চোখ আফগান কিশোরের 

বিশ্বকাপ শুরুর পরপরই ইনজুরির দোহাই দিয়ে মোহাম্মদ শাহজাদকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যা নিয়ে পরে কম জল ঘোলা হয়নি। শাহজাদ অভিযোগ করেন, ইচ্ছে করেই তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নালিশ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাকে আর দলে ফেরায়নি ক্রিকেট বোর্ড। তার পরিবর্তে দলে ঢোকানো হয় কিশোর উইকেটরক্ষক ইকরাম আলী খীলকে। 

বিশ্বকাপের প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে ইকরামের উইকেট-কিপিং আর ব্যাটিং এত বাজে ছিল যে তা নিয়ে ফের সমালোচনা শুরু হয়। তবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৬ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন ইকরাম। দল হারলেও উইন্ডিজদের বিপক্ষে তার ইনিংস বেশ প্রশংসিত হয়।

ইকরামকে নিয়ে প্রশংসার আরও একটি কারণ হচ্ছে ৮৬ রানের ইনিংসটি খেলার পথে অনন্য এক কীর্তি গড়েন তিনি। ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংসটি খেলেন তিনি। 

১৯৯২ বিশ্বকাপে মাত্র ১৮ বছর ৩২৩ দিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রানের এক ইনিংস খেলেন টেন্ডুলকার। আর গতকাল ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বছর ২৭৮ দিনে ৮৬ রানের ঝলমলে ইনিংস আসে ইকরামের উইলো থেকে। 

এদিকে ক্রিকেট ইশ্বর শচীনকে পেছনে ফেলতেই নিজের নতুন এক উচ্চাভিলাষী কথা প্রকাশ্যে আনলেন ইকরাম। আফগানিস্তানের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ায় এখন চোখ তার। ম্যাচ শেষে ইকরাম বলেন, ‘আমি অনেক গর্বিত শচীনের মতো একজন কিংবদন্তির রেকর্ড ভাঙতে পেরে। এটা করতে পেরে আমি অনেক খুশি। আমি অনেক খুশি ৮৬ রান করতে পেরে, যা আবার এই বিশ্বকাপে আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ।’  

এরপর তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে আমাদের পক্ষে এত রান আর কেউ করতে পারেনি। কিন্তু আমি হতাশও, কেননা আমি সেঞ্চুরি করতে পারিনি। তবে আমি অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। যাতে করে আমি যেন আফগানিস্তান ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হতে পারি।’  

এসএইচএস 

আরও সংবাদ