ক্রিকেটে বৈষম্য, খেলাটি এখন শুধুই ব্যাটসম্যানদের! 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০১৯, ১২:০৬ পিএম ক্রিকেটে বৈষম্য, খেলাটি এখন শুধুই ব্যাটসম্যানদের! 
বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করেছিলেন বেন স্টোকস এবং জস বাটলার। ফটো : আইসিসি

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফি জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবে এই ম্যাচে জয় নির্ধারণের ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুতই বটে। ফাইনাল ম্যাচ টাই হওয়ায় খেলার ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে, আর সেখানেই হয়ে যায় ফলাফল নির্ধারণ।  

ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে এক ওভারে সংগ্রহ করে ১৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জোফরা আর্চারের করা সুপার ওভার থেকে ঠিক ১৫ রানই নেন দুই কিউই ব্যাটসম্যান জিমি নিশাম ও মার্টিন গাপটিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। মোট বাউন্ডারি সংখ্যায় ইংলিশরা এগিয়ে থাকায় তারাই ট্রফি জিতে নেয়। আর এই নিয়ম নিয়েই শুরু হয়েছে যতো বিতর্ক। খেলার ভাগ্য নির্ধারণে বাউন্ডারির সংখ্যা কেন বিবেচনায় আনা হবে? কেন উইকেট সংখ্যা নয়?

এমনিতেই টি-২০ ক্রিকেটের ধুম ধাড়াক্কার জোয়ারে বোলাররা ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো একটি ম্যাচে যদি বাউন্ডারি সংখ্যা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভাগ্য গড়ে দেয়, তবে এখন থেকে বলতেই হবে ক্রিকেটটা শুধু ব্যাটসম্যানদেরই খেলা। কিউই বোলার ফিল্ডারদের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিং, কেন উইলিয়ামসনের নায়কোচিত অধিনায়কত্ব- সবকিছুই ভেস্তে গেল ক্রিকেটের তথাকথিত বিনোদন চার-ছক্কার বন্যার কাছে।

লো স্কোরিং ফাইনালে গতকাল শক্তিশালী ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপকে লক্ষ্যের মধ্যে আটকাতে সবচেয়ে বেশি নিউজিল্যান্ডের বোলাররাই কৌশলী ছিলেন। প্রথম ইনিংসে কিউই বাহিনীকে মাত্র ২৪১ রানে আটকানোর কৃতিত্বটাও তো ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাংকেটদের। তারপরও শিরোপা নির্ধারণে থাকলো না তাদের এতোসব নৈপুণ্যের কোনো ভূমিকা। 

তরুণ প্রজন্মের যে ক্রিকেটারটি ভবিষ্যতে একজন বিধ্বংসী বোলার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর, গতকালের ফাইনাল দেখে সে কি আর তার স্বপ্নের পথে পা বাড়াবে? বোলাররা যখন শুধুই ওভারের কোটা পূরণের পাত্র হয়ে যাচ্ছেন, তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে- এটাই কি সত্যিকারের ক্রিকেট? ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে বিশ্বজয়ের জয়গান গাইলেন আধুনিক যুগের 'হার্টথ্রব' হার্ড হিটাররা। এটা কি ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেত নয়? 

এমএইচএস/ আরআইএস 

আরও সংবাদ