দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যখন বেন স্টোকস ইংল্যান্ডকে শিরোপার লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখছিলেন, তার বাবা গেরার্ড স্টোকস তখন নাকি যন্ত্রণায় পুড়ছিলেন!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন স্টোকসই। কিন্তু ফাইনালের 'ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ' স্টোকসের বাবা কিন্তু ব্ল্যাকক্যাপসদেরই সমর্থন দিচ্ছিলেন। তবে বাবার সমর্থন না পেলেও বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা ঠিকই উঁচিয়ে ধরতে পেরেছেন স্টোকস।
ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেললেও বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডে, ১৯৯১ সালের ৪ জুন। শৈশবের পুরোটা সময়ই তার কেটেছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। বাবা গেরার্ড স্টোকস ছিলেন নিউজিল্যান্ডের একজন রাগবি খেলোয়াড়। স্টোকসের বয়স যখন বারো, রাগবি লীগের কোচের চাকরি নিয়ে তখন তার বাবা পরিবারসহ ইংল্যান্ডে চলে আসেন।
এরপর বেন স্টোকস ইংল্যান্ডকেই নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে নিলেও তার বাবা-মা পরে আবার নিউজিল্যান্ডেই ফেরত যান। ধীরে ধীরে ক্রিকেটে নিজের পারদর্শিতা জাহির করে ইংলিশ ক্রিকেট দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হন স্টোকস। এরপর তো অনবদ্য পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে তাদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপাই এনে দিলেন।
লর্ডসের ফাইনালে ইংল্যান্ড শিরোপা জেতার পর স্টোকসের বাবা নিউজিল্যান্ডের এক ওয়েবসাইটকে বলেছেন, 'আমি আসলেই ব্ল্যাকক্যাপসদের জন্য হতাশা অনুভব করছি। এত কাছাকাছি এসে ট্রফি জিততে না পারাটা কষ্টের। বেন ও তার দলের পারফরম্যান্সে আমি উল্লাসিত, কিন্তু আমি এখনও একজন নিউজিল্যান্ড সমর্থক।'
কিউইদের দুঃখ স্টোকস ঠিকই অনুভব করতে পারবেন বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই রাগবি খেলোয়াড়, 'সে অবশ্যই ব্ল্যাকক্যাপসদের জন্য দুঃখ বোধ করবে, হয়তো এখানকার মানুষদের মতো নয়। তবে অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের সমব্যথী হবে সে। তারা বেশ কাছাকাছি দুটি দল। দুই দলই একে অপরকে শ্রদ্ধা করে।'
জস বাটলারের সঙ্গে বড় একটা জুটি গড়ে ফাইনালে ইংলিশদের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন স্টোকস। এরপর সুপার ওভারেও বাটলারকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ১৫ রান। ফাইনালে ৫০ ওভারের ম্যাচের পর সুপার ওভারও টাই হয়েছিল। শেষে বাউন্ডারি সংখ্যার বিচারে ম্যাচ জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে লাগায় ইংলিশরা।
এমএইচএস