মিচেল স্টার্ক, মুস্তাফিজুর রহমান, ট্রেন্ট বোল্ট, মোহাম্মদ আমির, শাহীন আফ্রিদি, শেলডন কটরেল - এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল কিছু বোলারের নাম। একটি জায়গায় এই সব ক'জন বোলারের মধ্যে রয়েছে মিল। আর তা হলো, এরা সবাই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার।
এবারের বিশ্বকাপে এই যে একসাথে সব বাঁহাতি গতি তারকারা জ্বলে উঠেছিলেন, সে ব্যাপারটাকে ঠিক 'ইতিহাস' বলা যায় না। কারণ, বিশ্বকাপে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের সফল হওয়ার ইতিহাস নতুন নয়, কুড়ি বছর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকেই এ ধারা অব্যাহত আছে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্ক ২৭ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সবচেয়ে সফল বোলার। টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ২০ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
এবারের মতো ২০১৫ বিশ্বকাপেও ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন স্টার্ক। ৮ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ, হয়েছিলেন 'ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট'।
এবার তাকানো যাক ২০১১ বিশ্বকাপের দিকে। উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে যেখানে স্পিনারদের দাপট থাকার কথা, শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তকমাটা নিজের গায়ে মাখলেন এক ভারতীয় বাঁহাতি পেসার - জহির খান!
২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এক টুর্নামেন্টে ১০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েছিলেন বাঁহাতি গতি তারকারা। ২০.৪৬ গড়ে সব বাঁহাতি পেসার মিলে সেই আসরে পেয়েছিলেন ১০২ উইকেট! আর ২০১৯ বিশ্বকাপে বাঁহাতি পেসাররা মিলে নিলেন ১২৯ উইকেট, ছাড়িয়ে গেলেন আগের রেকর্ডকেও।
শুধু তাই নয়, সর্বশেষ আট ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৬টিতেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন বাঁহাতি পেসাররা!
১৯৯২ - ওয়াসিম আকরাম
১৯৯৯- জিওফ অ্যালট
২০০৩ - চামিন্দা ভাস
২০১১ - জহির খান
২০১৫ - মিচেল স্টার্ক ও ট্রেন্ট বোল্ট
২১৯- মিচেল স্টার্ক
এবারের বিশ্বকাপের কয়েকজন বাঁহাতি তারকার উইকেট সংখ্যার দিকে তাকালেও জাগবে সমীহ -
মিচেল স্টার্ক - ২৭ উইকেট (গড় ১৮.৫৯)
মুস্তাফিজুর রহমান- ২০ উইকেট (গড় - ২৪.২০)
ট্রেন্ট বোল্ট - ১৭ উইকেট (গড় - ২৫.৭৬)
মোহাম্মদ আমির - ১৭ উইকেট (গড়- ২১.০৬)
শাহীন আফ্রিদি - ১৬ উইকেট (১৪.৬২)
সব পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ শেষে একটি কথাই মনে হয় কেবল, চলছে বাঁহাতি পেসারদের স্বর্ণযুগ !
এমএইচএস