সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একজন জেনুইন স্পিনারের অভাবে ভুগেছে, তা প্রতিটি ম্যাচেই লক্ষ্য করা গেছে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা বোলিংয়ে সার্ভিস দিলেও জেনুইন স্পিনারের ঘাটতি পূরণে দল গঠনের সময় টিম ম্যানেজমেন্ট আসলে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ দল যখন পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার সময়ে একের পর এক ম্যাচ হারতো, তখনো ওয়ানডেতে স্পিন আক্রমণে দল ছিল শক্ত এবং ভারসাম্যপূর্ণ। অথচ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে প্রকৃতপক্ষে একজন স্পেশালিষ্ট স্পিনার না থাকা এবার টাইগারদের জন্য হাহাকার হয়ে দেখা গেল।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার পর দেখা যায় কোনো জেনুইন স্পিনারকে রাখা হয়নি। ওয়ানডে অভিষেকের আগেই আবু জায়েদ রাহীকে দলে নেয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল তার সুইং করার সামর্থ্যকে মাথায় রেখে বলে নেয়া হয়েছে। অথচ একটি ম্যাচেও তাকে একাদশে নেয়ার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট বিবেচনাই করেনি। উল্টো জেনুইন স্পিনার না নেয়ার খেসারত এবারের বিশ্বকাপে লাল-সবুজের দলকে দিতে হয়েছে।
চার বছর পর ভারতের মাটিতে বসতে যাওয়া বিশ্বকাপে যে স্পিন বোলিং নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হবে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিসিবির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সামনের বিশ্বকাপ কিন্তু ভারতে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের স্পিন বোলিং, বিশেষ করে লেগ স্পিনে আমাদের নজর দিতে হবে। এখন এগুলো চিহ্নিত করার উপযুক্ত সময়।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একজন রিস্ট স্পিনারের অভাব থাকার কথা খোলামেলাভাবেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জানিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
প্রসঙ্গত, টাইগারদের হয়ে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের মধ্যে অমিত সম্ভাবনা দেখেছিল টাইগার ভক্তরা। কিন্তু অফ ফর্ম। ক্লাবগুলোর নিয়মিত না খেলানোর মানসিকতা, বিপিএলে দল না পাওয়া, টিম ম্যানেজমেন্টের সুনজর না থাকা এসব কারণে হারিয়ে যায় জুবায়ের। এরপর দলে তানভীর হায়দার নামের এক লেগ স্পিনার আসলেও তার মধ্যে বিশেষ কিছু না থাকায় পরে সেভাবে আর সুযোগ পাননি। একইসঙ্গে বিসিবির পক্ষ থেকে করা হয়নি লেগ স্পিনার খোঁজার জন্য কোনো ট্যালেন্ট হান্ট।
আরআইএস