কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের 'ই' গ্রুপে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম প্রতিপক্ষ হলো আফগানিস্তান। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই 'অ্যাওয়ে' ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের মিশন শুরু করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটিতে 'অ্যাওয়ে' ম্যাচ খেলতে যেতে ঘোর আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন - বাফুফের।
বাফুফের এই অনাগ্রহের পেছনে কারণ রয়েছে যথেষ্ট। আজও দেশটির রাজধানী কাবুলে সরকারি কর্মচারীদের বহনকারী একটি বাসসহ তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশটির ৭০ শতাংশ জায়গাতেই তালেবান জঙ্গিরা প্রকাশ্যে তৎপর রয়েছে।
ইতোমধ্যেই আফগান সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানদের সঙ্গে কোন প্রকার শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। গত বছরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনারা অনির্দিষ্টকাল ধরে থাকবে। বিবিসির সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, তালেবানদের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হলেও আফগানিস্তানে এখন ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা আগের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর।
এর আগে বাংলাদেশের অ্যাওয়ে ম্যাচটি আফগানিস্তানে অনুষ্ঠিত হলে দলের সঙ্গে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। চলমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে কোনো আন্তর্জাতিক দলের সফর করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে।
আফগানিস্তানের স্বীকৃত হোম ভেন্যু দেশটির রাজধানী কাবুলের গাজী স্টেডিয়াম। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এর আগে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আফগানিস্তান তাদের হোম ভেন্যু বানিয়েছিল ইরানের রাজধানী তেহরান এবং তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেকে। এবারও সেরকমই কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাবে বাফুফে। কারণ বর্তমানে দেশটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজনে যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।
শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানে বিদেশিদের অপহরণের ঘটনাও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই এএফসিকে অনানুষ্ঠানিক অসম্মতি জানিয়ে রেখেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
সোহাগ বলেন, যদি সেটা আফগানিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশ হয়, তবে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু সেটা কাবুলে হলে আমরা অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয়টা সামনে টেনে আনব। কারণ নিরাপত্তা সবার ওপরে।
এমএইচএস