এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। ঢাকা প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে (বিপিএল) আবাহনী-সাইফ স্পোর্টিংয়ের ম্যাচ শেষে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এ কারণে ম্যাচের শেষে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এরপর টিভিতে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি।
রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি সেই অভিযোগে জামালকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কার্ডের কারণে নোফেল স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে খেলা হয়নি জামালের। এদিকে ডিসিপ্লিনারি কমিটির তাকে আরও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আজ (সোমবার) বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষেও জামালের মাঠে নামা হচ্ছে না।
গত শনিবার (২০ জুলাই) আবাহনী লিমিটেড ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে মারামারিতে জড়িয়ে পরার কারণে সাইফের এমিরি বায়িসেঙ্গে এবং আবাহনীর মাসিহ সাইগানিকে লাল-কার্ড দেখানো হয়েছিল। মাঠের উত্তেজনার রেশ চলতে থাকে ম্যাচ শেষের পরেও। ৪৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবেকে ৪-১ গোলের হার দিয়ে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছিল।
শেষ বাঁশি বাজার পর খেলোয়াড়েরা সবাই মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় রেফারি আনিসুর রহমানের সঙ্গে তর্কে জড়ানোয় লাল কার্ড দেখেন জামাল ভূঁইয়া। পরে এ ঘটনা নিয়ে জামাল ভূঁইয়া একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ম্যাচে রেফারি নিরপেক্ষ ছিল না। যা ফুটবলের জন্য ভালো নয়। রেফারির মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাদের মান কী, আমি জানি না। ম্যাচে আবাহনীকে সুবিধা দেয়া হয়েছে। খেলোয়াড়েরা ভুল করলে যেমন শাস্তির ব্যবস্থা আছে, রেফারিদের বিরুদ্ধেও তেমন ব্যবস্থা থাকা উচিত।’
জামাল ভূঁইয়ার বলা এসব কথার পরিপ্রেক্ষিতে বাফুফের অভিযোগ আনে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বাইলজের ৪৬.৩ ও ৪৬.৭ ধারা এবং খেলোয়াড়দের কোড অব কন্ডাক্টের (আচরণবিধি) ৩ নম্বর ধারা ভঙ্গ হয়েছে।
এসএইচএস