আগামী ১ আগস্ট এজবাস্টনে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ সিরিজ দিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকে বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই আইসিসির এমন নতুন উদ্যোগ।
এর আগে বর্ষপঞ্জির ১ এপ্রিলে যে দল আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকতো তার হতেই তুলে দেয়া হতো টেস্ট সেরার মুকুট। কিন্তু এবার তা নতুন আঙ্গিকে আরম্ভ হতে চলেছে।
নতুন নিয়মের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের গুরুত্ব অনেক বেশি বেড়ে যাবে। ১ আগস্ট ২০১৯ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৯টি দেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে লড়াই করবে।
প্রতিটি সিরিজের মোট পয়েন্ট হবে ১২০। অর্থাৎ দুটি ম্যাচ হলে এক একটি ম্যাচের পয়েন্ট হবে ৬০। অপরদিকে, সিরিজে পাঁচটি ম্যাচ হলে প্রতি ম্যাচের পয়েন্ট হবে ২৪। এই দুই বছরে প্রতিটি দল খেলবে ৬টি সিরিজ। প্রতি দলের কাছে সুযোগ থাকবে মোট ৭২০ পয়েন্ট সংগ্রহ করার।
টেস্ট ম্যাচ যদি ড্র হয়ে তাহলে দুই ম্যাচের সিরিজে দুটি দল পাবে ২০ পয়েন্ট, তিন ম্যাচের সিরিজ হলে পাবে ১৩.৩ পয়েন্ট, চার ম্যাচের সিরিজ হলে পাবে ১০ পয়েন্ট এবং পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হলে পাবে ৮ পয়েন্ট। তবে ম্যাচ যদি টাই হয় তাহলে সেই ম্যাচের মোট পয়েন্ট ভাগ হয়ে যাবে দুই দলের মধ্যে।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল শেষে যে দুই দল লিগের ওপরে থাকবে তাদের মধ্যে জুন মাসে হবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল লর্ডসে। আইসিসি জানিয়েছে, যদি টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল ড্র বা টাই হয় তাহলে যে দল লীগ টেবিলে এক নম্বরে থাকবে তাদেরকেই জয়ী ঘোষণা করা হবে। তবে যদি দুই দলের পয়েন্ট সমান থাকে তাহলে কীভাবে বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে, সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি আইসিসি।
আরআইএস