স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ইশান্ত শর্মার তোপের মুখে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে জাসপ্রীত বুমরাহর ৮ ওভারের বোলিংয়ের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে মাত্র এক সেশনেই অলআউট হয়ে ৩১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে পরাজয় বরণ করেছে।
মাত্র ৮ ওভারের বোলিং করে ৪ মেডেন এবং ৭ রান দিয়ে বুমরাহ নেন ৫ উইকেট। আর তাতেই ঘরের মাঠে টেস্টের চতুর্থ দিনেই ক্যারিবীয়দের লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
রোববার (২৫ আগস্ট) দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৩ উইকেটে ১৮৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে। আগের দিনের ৫১ রানের সঙ্গে কোনো রান যোগ করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রোস্টন চেসের বলে জন ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন।
পঞ্চম উইকেটে ১৩৫ রানের জুটিতে ভারতের লিড বড় করে নেন আজিঙ্কা রাহানে এবং হনুমা বিহারী। দশম টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়ার পর ২৪২ বলে ৫ চারের মারে ১০২ রানের ইনিংস খেলে রাহানে আউট হন। মাত্র ৭ রান করে ফেরেন ঋশভ পন্থ।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি হনুমা বিহারী। ১২৮ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কার মারে ৯৩ রান করে তিনি হোল্ডারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। হনুমা আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরাট কোহলি ৭ উইকেটে ৩৪৩ রানে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করলে স্বাগতিকদের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১৯ রান।
বড় রান তাড়া করতে নেমেই মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় হোল্ডারের দল। এরপরও ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকায় একসময় ক্যারিবীয়দের স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ৯ উইকেটে ৫০। কেমার রোচ ডিআরএসের কল্যাণে বেঁচে না গেলে ৫০ রানেই থামতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। তবে জীবন পাওয়ায় মিগুয়েল কামিন্সের সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন রোচ। আর তাতে স্কোরবোর্ডে ঠিক ১০০ রান ওঠার পরই ৩১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৮ রান করা রোচ আউট হলে শোচনীয় পরাজয় কপালে জোটে স্বাগতিকদের। মিগুয়েল কামিন্স ১৯ রানে অপরাজিত থেকে যান।
বুমরাহর ৫ উইকেট দখলের পাশাপাশি ইশান্ত শর্মা ৩টি এবং মোহাম্মদ শামি ২ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৮১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ রান করার সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আজিঙ্কা রাহানে।
আরআইএস