আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে ফিটনেস টেস্টে অংশ নিয়েছিলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। একইসঙ্গে বিকেএসপির ক্রীড়া বিজ্ঞান শাখার অধীনে অভিনব মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা দিয়েছেন ফুটবলাররা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেএসপির ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নুসরাত শারমিনের অধীনে ফুটবলাররা মানসিক দক্ষতার পরীক্ষার সম্মুখীন হন।
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ১৯ ফুটবলার পরীক্ষায় অংশ নেয়। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে খেলার পর উত্তর কোরিয়া থেকে আবাহনী দল দেশে ফিরলে তাদের দল থেকে প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা বাকি ৭ জনকে মানসিক দক্ষতার পরীক্ষা দেয়ার জন্য যেতে হবে বিকেএসপিতে।
ফিটনেস, টেকনিক, ট্যাকটিস, মানসিক দক্ষতা- এই চার শক্তির কার্যকর মিশেলে গড়ে ওঠে একজন আদর্শ ফুটবলার। সেই লক্ষ্যে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্ত জাতীয় দলের ফুটবলাররা। কেননা মানসিক শক্তি পরীক্ষার জন্য ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া বিকল্প নেই। অভিনব এই পরীক্ষা ফুটবলারদের মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী করেছে বলে দাবি করেছেন তারা নিজেরাই।
ক্রীড়াবিদদের জন্য এ ধরনের পরীক্ষার গুরুত্বের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে নুসরাত শারমিন বলেন, শুধু মানসিক প্রস্তুতি নয়; বিপ টেস্ট, এন্ডুরেন্স টেস্টের মতো শারীরিক শক্তি পরীক্ষায়ও এদিন অংশ নেন ফুটবলাররা। তাজিকিস্তানের ঠান্ডা আর বিরূপ কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ উৎরে যেতে এসব উদ্যোগ টিম ম্যানেজমেন্টের।
ফুটবলারদের মানসিক দক্ষতার পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা অনেকদিন ধরে হয়নি। আমরা চাই প্রতিটা ফুটবলার ভালো শেপে থাকুক। টেস্ট থেকে প্রাপ্ত উপাত্তগুলো ভবিষ্যতেও কাজে দেবে।
সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর
আরআইএস