চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথন দিনের প্রথম সেশনে ৩ উইকেটে ৭৭ রান করতে পেরেছিল আফগানিস্তান। এর ফলে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে রহমত শাহ টাইগার বোলারদের হতাশায় পুড়িয়েছেন।
রহমত শাহ এবং আজগর আফগান ১২০ রানের জুটি গড়ে টাইগার বোলারদের চরম হতাশায় পুড়িয়ে ছাড়েন। ১৮৭ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কার মারে ১০২ রান করা রহমত নাঈম হাসানের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আসলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির অবসান হয়।
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৭ রান। আজগর আফগান ৯৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কার মারে ৪৯ রানে অপরাজিত আছেন। খানিক আগে নাঈম হাসানের বলে রানের খাতা না খুলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে আফগানিস্তানের দুই ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দলের দিকেই ম্যাচের লাগাম ধরে রাখার কাজটা বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ভালোভাবেই করেছেন। ম্যাচের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইনসানউল্লাহ ১০ রান করে তাইজুলের টার্ন করা বলে বোল্ড হন। আফগানদের দলীয় রান তখন ১৯। আর তাতেই ২৫তম টেস্ট খেলতে নামা তাইজুল ১০০ উইকেটের দেখা পান।
সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে গিয়ে তাইজুল এখন বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টেস্টে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারি বোলার হয়ে গেছেন। তৃতীয় টাইগার বোলার হিসেবে তাইজুল টেস্টে ১০০ উইকেট লাভ করলেন। তার আগে নিজের ২৮তম টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে ১০০তম উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ১০০ উইকেট দখল করা মোহাম্মদ রফিক নিজের ৩৩তম টেস্টে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
সফরকারীদের দলীয় ৪৮ রানের মাথায় তাইজুলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি ইবরাহিম জাদরান। লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়ে ৬৯ বলে ৩ চারের মারে ২১ রান করা ইবরাহিম ফিরে যান।
টাইগারদের স্পিন আক্রমণ সামলে নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বাভাবিক ছন্দে খেলে রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনছিলেন। তবে সাকিব আল হাসান বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে লাঞ্চের আগের শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোলিং আক্রমণে আনলেন। আর তাতেই বাজিমাত। ১৪ রান করা শাহিদি প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে আসার পর দুই আম্পায়ার লাঞ্চের ঘোষণা দেন।
লাঞ্চের পর ব্যক্তিগত ৪২ রানে থাকা আজগর আফগানের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ লেগ বিফোরের আবেদন করার পর আম্পায়ার তাতে সাড়া দিলেও রিভিউ নিয়ে তিনি বেঁচে যান। অপরদিকে, সাকিব আল হাসানের করা থ্রো সরাসরি স্টাম্পে না লাগায় ৯৪ রানে থাকা অবস্থায় জীবন পান রহমত শাহ। আর তাতে করে এই মুহূর্তে ম্যাচের লাগাম আফগানদের হাতেই রয়েছে।
আরআইএস