চট্টগ্রাম টেস্টে আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তবে ১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা সফরকারীরা সাকিব আল হাসানের স্পিন তোপের পর নাঈম হাসানের আঘাতের শিকার হয়েছে। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৬ রান। ১৯৩ রানের লিডে রয়েছে রশিদ খানের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা সফরকারীরা সাকিব আল হাসানের স্পিন তোপের মুখে পড়ে প্রথম ওভারেই বিপদে পড়ে। সাকিব প্রথম ওভারে নিজেই বল হাতে নিলে তার করা প্রথম বলে চার মারেন ইনসানউল্লাহ। পরের বল ডট। তৃতীয় বলেই সাকিবের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়ে ফিরে যান আফগান ওপেনার। আগের ইনিংসে আফগানদের হয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্ছুরিয়ান রহমত শাহের ক্যাচ ধরে তাকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাইয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান সাকিব। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে তৃতীয় উইকেট পেতে পারতেন সাকিব। ইবরাহিম জাদরানের খেলা ডিফেন্সিভ শটে বল গিয়েছিল সিলি পয়েন্টে। কিন্তু ফিল্ডার মুমিনুলের হকের রিফ্লেক্স ধীর থাকায় দ্রুতগতিতে আসা বলটি তিনি ক্যাচে পরিণত করতে পারেননি। তাই ইবরাহিম শূন্য রানে জীবন পেয়ে এখনো ক্রিজে আছেন।
নাঈমের করা দুর্দান্ত এক বল টার্ন করে ছুঁয়ে যায় ১২ রান করা হাশমতউল্লাহ শাহিদির ব্যাট। বল মুশফিকের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে তড়িৎ গতিতে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্য সরকার ক্যাচ লুফে নেন।
এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ নবীর করা স্টাম্প বরাবর সোজা বলে অকারণে আগেই ব্যাট চালিয়ে নিয়ে ৫৮ বলে ১৪ রান করে দৃষ্টিকটুভাবে বোল্ড হন তাইজুল ইসলাম।
এরপর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রশিদের গুগলি বলে লেগ বিফোরের শিকার হন ৭ রান করা নাঈম হাসান। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ২০৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৯.৫ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট পান রশিদ খান। অপরপ্রান্তে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন ৮২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
আরআইএস