বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে নির্ভরশীলতার এক প্রতীক হয়ে অনেক আগেই মুশফিকুর রহিম নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে পোক্ত করেছেন নিজের অবস্থান। ব্যাটসম্যান হিসেবে তো বটেই, উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও রাখছেন অবদান। দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া মুশফিক এবার নিজেকে নিয়ে গেলেন নতুন উচ্চতায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে রোভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ নিয়ে মুশফিক ঢুকে গেছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক ডিসমিসাল করা সেরা ১০ উইকেটরক্ষকদের তালিকায়। ওয়ানডেতে ২০৪টি ডিসমিসাল করে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সোনালী যুগের সেই দলের উইকেটরক্ষক জেফ ডুজনের সঙ্গে যৌথভাবে দশম সর্বাধিক ডিসমিসালের মালিক এখন মুশফিক।
এখন পর্যন্ত ১৯৮ ওয়ানডে খেলা মুশফিক ১৮৫ ম্যাচে গ্লাভস হাতে মাঠে নেমেছেন। ২০৪ ডিসমিসালের মধ্যে তিনি এখন পর্যন্ত উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়েছেন ১৬২টি এবং স্টাম্পিং করেছেন ৪২টি। ম্যাচ প্রতি তিনি ডিসমিসাল করেছেন ১ দশমিক ১০২টি।
২০১৫ সালের ১৮ জুন ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইকেটের পেছনে দুইটি ক্যাচ ফেলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু তখন কেই বা ভাবতে পেরেছিল,ওই ম্যাচেই তিনি গ্লাভস হাতে ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচটি খেলে ফেলবেন! মুশফিক সেদিন প্রমাণ করেছিলেন, বাঘ বারবার শিকার হাতছাড়া করে না। তাই দুই ক্যাচ ফেলে দেয়ার পরে ধরেছিলেন ভারতের পাঁচ ব্যাটসম্যানের ক্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেকে বিশ্ব ক্রিকেটকে কাটার ডেলিভারিতে তাক লাগিয়ে দেয়া মুস্তাফিজ বন্দনায় মুখরিত ছিল সবাই। ফলে আড়ালেই থেকে যায় মুশফিকের ম্যাচে সর্বাধিক পাঁচ ডিসমিসালের কীর্তি।
তালিকায় সবার উপরে আছেন লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। ৪০৪ ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটার উইকেটের পেছনে ৩৫৩ ম্যাচে গ্লাভস হাতে দাঁড়িয়ে করেছেন ৪৮২টি ডিসমিসাল। তারপরই রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ২৮৭ ম্যাচের মধ্যে ২৮১টি ম্যাচে গ্লাভস হাতে নেমে তার ডিসমিসাল সংখ্যা ৪৭২টি।
এরপর আছেন ভারতের এম এস ধোনি। ৩৩২ ম্যাচের মধ্যে ৩৩৭ ম্যাচে কিপিং করা ধোনির ডিসমিসাল সংখ্যা ৪২৫। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন ২৯৫ ম্যাচে ২৯০টি ম্যাচে কিপিং করে ৪২৪টি ডিসমিসাল করা দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার।
আরএস