আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লীগ। যার আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে বিপ টেস্ট। খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ব্যাপারে বেশ সতর্ক বিসিবি। যে কারণে এবারের জাতীয় লীগে খেলতে বিপ টেস্টে কমপক্ষে ১১ পেতে হবে ক্রিকেটারদের।
বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের পর থেকে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে বিপ টেস্ট আসলে কী?
কোনো ক্রিকেট সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিবারই দেখা যায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ক্যাম্প হয়, যেখানে ক্রিকেটাররা জিমনেসিয়াম বা মাঠে নিজেদের ফিটনেসের পরীক্ষা দেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্থানীয় ট্রেনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন খেলোয়াড়দের ফিটনেস বা শারীরিক যোগ্যতা সাধারণ মানুষের ফিটনেস থেকে কিছুটা আলাদা।
''ফিটনেস মূলত দু ধরণের- একটা সাধারণ মানুষের এবং অন্যটা খেলাধুলা বিষয়ক ফিটনেস। খেলাধুলায় থাকতে হলে প্রাসঙ্গিক ফিটনেস প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে,'' বলেন তিনি।
''মূলত ব্যাট, বল বা প্যাড নিয়ে ক্রিকেটারদের দম বিচার করাই বিপ টেস্টের কাজ।''
তিনি বলেন এই বিপ টেস্ট বা ফিটনেস পরীক্ষা বলে দেয় কোন্ ক্রিকেটার খেলার মাঠের জন্য কতটা উপযুক্ত।
এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় ভিওটুম্যাক্স নামে একটি পদ্ধতি। ''এই প্রক্রিয়ায় জানা যায় কি পরিমাণ অক্সিজেন একজন ক্রিকেটার নিতে পারে, যা ক্রিকেটারদের প্রাণশক্তির নির্ণায়ক হতে পারে,'' বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্থানীয় ট্রেনার।
সূত্র: বিবিসি