ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের পর এখন ক্রিকেটারদের ব্যস্ততা জাতীয় ক্রিকেট লীগ নিয়ে। ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে প্রস্তুত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। নভেম্বরে ভারত সফরের আগে নিজেদেরকে পরখ করে নেয়ার সবচেয়ে বড় মঞ্চ জাতীয় লীগ।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে সুযোগই মিলছে না পেসারদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো একাদশে কোনো স্বীকৃত পেসার ছাড়াই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে জাতীয় লীগে নিজেদের কতটা প্রমান করতে পারবেন পেসাররা?
এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদ মাধ্যমকে আবু হায়দার রনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের, আমরা হয়তো উইকেটটা আমাদের সহায়ক পাইনা। তবে গত দুই বছরের দিকে তাকালে দেখবেন পেসাররা কিন্তু সেরা পাঁচে থাকছে। শেষ দুই বছর ধরে আমরা কিন্তু উইকেটটা কিছুটা ভালো পাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয় কারণ আমি যে কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি আমাদের উইকেটটা কিন্তু পেস বোলারদের সহায়ক আছে। তবে, এবারের ঘরোয়া লীগে অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আমার মনে হয় এবারও উইকেটটা ভালো থাকবে আর পেসাররা খুব ভালো করবে।’
দেশের মাটির উইকেট সবসময়ই হয় স্পিন বান্ধব। আন্তর্জাতিক উইকেট তো বটেই ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখা মিলে না পেস সহায়ক উইকেটের। ঢাকা মেট্টোর হয়ে খেলা রনি মনে করেন, উইকেটের সঙ্গে দ্বায় আছে পেসারদের নিজেদেরও।
‘আসলে আমাদের পেস বোলারদের জন্য এটি একটি চিন্তার বিষয়, কারণ দেখা যাচ্ছে হয়তো উইকেটটি একটু স্পিনিং সহায়ক বানায়, এই কারণে পেস বোলাররা কম খেলতে চায়। তবে এখানে আমাদেরও ঘাটতি রয়েছে। আমরা যারা পেস বোলার আছি আমরা হয়তো তেমন গতির বোলার না যে আমরা ১৪০ এর বেশি গতিতে বোলিং করি। দেখা যায় আমরা যারা আছি সবাই ১৩০ কিংবা ১৩৫ এমন গতিতে বোলিং করি।’
এমএইচবি