বিপিএলের সপ্তম আসর নিয়ে নাটকীয়তার শেষ নেই। খেলোয়াড়দের দলবদল ইস্যু নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বিসিবি সভাপতি পাপন হঠাৎই ঘোষণা দেন বিপিএলে থাকবে না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি, বিসিবির অধীনেই পরিচালিত হবে এবারের আসর।
এরপর বিপিএল গভর্নিং বডির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবারের বিপিএলে প্রতি দলে বাধ্যতামূলক লেগ স্পিনার এবং দেশি ওপেনার রাখতে হবে। আর এসব সিদ্ধান্তই দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে। তবে দেশের ক্রিকেটারদের স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, বিসিবির অধীনে আয়োজিত এই বিপিএলে থাকবে না কোনো দেশি কোচ। সাত দলের সবগুলোতেই বিদেশি কোচ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন কোচ, ট্রেনার, ফিজিও যদি বিদেশ থেকে আনা হয় তাহলে বোর্ড পরিচালকও বিদেশ থেকে আনা হোক।
তিনি লিখেন, ‘আজ একটা ব্যাপার উপলব্ধি করলাম, দেশের কোচদের মান ভালো না ,ট্রেনাররা চলে না, ফিজিওরা তো ফাজলামি করছে এতো দিন। সব বিদেশি আসবে, ভাল কথা। কিন্তু কেন কোন বিদেশি ডিরেক্টর আনবেন না? কারণ কোচ, ট্রেনার, ফিজিও, খেলোয়াড় কেউ আন্তর্জাতিক মানের না, তাহলে আপনারা নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের ভাবেন কিভাবে? আপনারা ও আমাদের মতই । আপনাদের ও উচিত বিদেশি ডিরেক্টর নিয়া আশা ।’
বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সদ্য বিসিবির চাকরি থেকে পদত্যাগ করা কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রেক্ষাপটটা একটু ভিন্ন। আমাদের কী প্রয়োজন, আমরা কোথায় কী করলে ভালো করবো সেটা বাইরের মানুষ বুঝতে পারবে না।’
বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট বিসিবি পরিচালক ও ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘অনেকে তৈরি হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার মতো সক্ষমতা এখন অনেকেরই আছে। এখন বিপিএলে অনেকে সুযোগ পেত, বিপিএলে যদি সেই সুযোগটা না পায়। তাহলে তো আর তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার সুযোগটা পাচ্ছে না। আমার মনে হয়, বোর্ড সিদ্ধান্তটা পুর্নবিবেচনা করবে।’
এমএইচবি