প্রথম দুইদিন নেটে নিজেদের ঝালিয়ে নিলেও ভারত সফরের প্রস্তুতির তৃতীয় দিনে এসে নিজেদের মধ্যে লাল ও সবুজ এই দুই দলে ভাগ হয়ে খেলছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে সবুজ দলের তালিকায় নাম থাকলেও মাঠে নেই টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বিসিবি কতৃক জমা দেয়া খেলোয়াড় তালিকায় নাম থাকলেও ব্যাটিংয়ে ও ফিল্ডিংয়ে নামেননি সাকিব। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রামীনফোনের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিসিবির সঙ্গে বসেছেন সাকিব। যেকোনো মুহূর্তে এই বিষয়ে বড় কোনো খবর আসতে পারে।
গত ২৫ অক্টোবর ভারত সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রথম দিনের অনুশীলনে যোগ দেননি সাকিব, এমনটিই জানা গিয়েছিল। যদিও তলে তলে ক্রিকেট পাড়ায় তা নিয়ে চলছিল গুঞ্জন।
বোর্ডের কাছে ১১ দফা দাবিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকার ঠিক একদিন পর গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন সাকিব। বিসিবির চুক্তি অনুযায়ী নাকি একজন জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনো খেলোয়াড় টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না। আর তাতেই সাকিব আল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)- এমনটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিককে প্রথমে জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
দ্বিতীয় দিনের অনুশীলনে যোগ দেন সাকিব। এদিন বোর্ড সভাপতি বলেন, আমাদের আইন অনুযায়ী এটা কোনোভাবেই করতে পারে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ওই টেলিকম কোম্পানিও জানে, খেলোয়াড়রাও জানে এটা চুক্তিতে নেই। কাজেই এটা কেন করলো, তবে ওকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। এজন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। এতটুকুই বলতে পারি এটা করতে পারে না।
ভারত সফর দিয়েই শুরু হচ্ছে বহুল আলোচিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের যাত্রা। ওই সিরিজের কথা মাথায় রেখে সাকিবকে কোনো ছাড় দেয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাড় দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে বলেন, আমাদের রেকর্ড বলছে, সাকিব আমাদের কিছুই জানায়নি। তাই এ ব্যাপারে করণীয় সবকিছুর ব্যবস্থা আমরা নেবো। এর বেশি আপাতত আর কিছু বলার নেই।
আরআইএস