দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় দু’জনই। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল তাদের এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারের নিজেদের সামর্থ্যের সবটা উজার করে দিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। একটা সময় এসে বনে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমার্থক শব্দ, হয়ে গেছেন নির্ভরশীলতার প্রতীক।
ব্যক্তি জীবনের এই দুই বন্ধুর কেউই নেই ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ সিরিজে। সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে নেই তামিম, আর ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় নিষেধাজ্ঞায় পড়ায় থাকছেন না সাকিব। এই দুই জনকে ছাড়া কেমন করে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক সমর্থকের মনেই।
সাকিব আল হাসানের টি-টুয়েন্টি অভিষেক হয় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যেখানে ব্যাট হাতে ২৮ বলে ২৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি। তামিমের অভিষেকটা আরও দশ মাস পরে। ২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে তাদেরই মাঠে অভিষেক হয় তার। যেখানে ১১ বল থেকে ১২ রান করেন তামিম।
আর এই ম্যাচের পর থেকে এখনো পর্যন্ত সাকিব-তামিম দুইজনকেই ছাড়া বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি খেলেছে ৩টি। যার সবগুলোতেই হেরেছে টাইগাররা। দুজনকে ছাড়া প্রথম ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, যেখানে হারে ১৭ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয়টা একই বছর মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ রানে।
আর সর্বশেষ ২০১৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে। শুধু তামিমকে ছাড়া ১৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে জয় ৬টিতে এবং পরাজয় ১১টিতে। শুধু সাকিবকে ছাড়া ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে জয় ৩টিতে, পরাজয় ৯টি এবং পরিত্যক্ত ১টি।
এমএইচবি