‘হতাশা কিংবা ব্যর্থতা কোনো কিছুই না’

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম ‘হতাশা কিংবা ব্যর্থতা কোনো কিছুই না’
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাজমুল হোসেন শান্ত।

ফাইনাল শব্দটা মানেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জন্ম হয় ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতা। যার প্রায় সবই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়া কাপে। জাতীয় দল, অনুর্ধ-১৯ দল কিংবা ইমার্জিং দল- কোথাও যেন থামে না এই হতাশার যাত্রা। ইমার্জিং এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৭ রানে হেরে বাংলাদেশের রানার্সআপ হওয়া যেন তারই প্রমাণ। 

পুরো আসরজুড়ে অপরাজিত থাকা উঠতি টাইগাররা ফাইনালে এসে খেই হারিয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং সব ডিপার্টমেন্টেই হতাশ করেছে দল। 

ম্যাচ শেষে তাই অধিানয়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন, হতাশা নাকি ব্যর্থতা? মিরপুরের মাঠে দাঁড়িয়েই তার জবাব, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় হতাশা ব্যর্থতা কোনো কিছুই না। আমার মনে হয় এমন বড় ম্যাচে আরেকটু বুঝে-শুনে খেলা উচিত ছিল। যে রকম উইকেট ছিল রানটা তাড়া করা সম্ভব ছিল। ফিল্ডিংয়ে আমরা কিছু ভুল করেছি, সেটা না করলে আরেকটু ভালো হতো।’ 

বরাবরই ফাইনালে এসে ব্যর্থ হওয়ার কারণ শান্তর কাছে কী মনে হয়? এক সাংবাদিকের ছুঁড়ে দেয়া প্রশ্নে ইমার্জিং অধিনায়কের জবাব, ‘আমার কাছে মনে হয় বড় ম্যাচে আমাদের প্ল্যানিং যেটা সেই অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, তাহলে জেতা সম্ভব। আরেকটু রিলাক্স থাকা উচিত ছিল। ফিল্ডিংয়ের বেশ কয়েকটা মিস্টেক হয়েছে, কিছু ওভার ওরা প্ল্যান অনুযায়ী করতে পারেনি, ব্যাটিংয়েও বড় পার্টনারশিপ হয়নি। আমরা যদি নরমাল ম্যাচের মতো রিলাক্স থাকতে পারি, ফাইনালেও ভালো কিছু সম্ভব।’  

বড় রান চেজ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনারই। সেটাই কী চাপ বাড়িয়েছি পরের ব্যাটসম্যানদের? এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘শুরুটা ভালো হলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায় হতো। উইকেটটা যেমন ছিল, যেকোনো একটা বড় পার্টনারশিপ হলেই জেতা যেতো। আমাদের প্ল্যান ছিল উইকেট হাতে রাখা। শেষ দশ ওভারে ১০০ রান দরকার থাকলে সেটাও সম্ভব ছিল।’

এমএইচবি/আরআইএস 
 

আরও সংবাদ