বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার তখনও এক সপ্তাহও পেরোয়নি ঠিকভাবে। এরমধ্যেই চূড়ান্ত হলো গোলাপি বলের টেস্ট খেলার। যা নিয়ে রীতিমতো এক উৎসবই তৈরি করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। পুরো কলকাতা শহরকেই তিনি মুড়ে দিয়েছিলেন গোলাপির রঙে। বসিয়েছিলেন সাবেকদের মিলমেলা, সঙ্গে ছিল নানা আয়োজন।
এই কয়েক দিনে বেশ ঝামেলায়ই পেরিয়েছেন সৌরভ । ইডেন টেস্ট শেষে তো নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষ ছিলেন বলেই দাবি করলেন তিনি, ‘আমি মনে হয় পৃথিবীর ব্যস্ততম মানুষ ছিলাম। এতদিন দম ফেলারও ফুরসত পাইনি। ইডেনে খেলা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। এতেই আমি খুশি। খেলা তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ঠিকই, তবে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিটও বিক্রি হয়ে গিয়েছিল আগেই।’
পুরো ভারত জুড়েই দর্শকরা মাঠে আসবেন বলে বিশ্বাস বিসিসিআই সভাপতির। তিনি আরও বলেন, ‘২০০১ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে টানা পাঁচদিন ইডেন ভর্তি ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস শুধু কলকাতা নয়, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু যেখানেই ভারত খেলবে, সেখানেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলা দেখার জন্য মানুষ আসবেন। আর কেনই বা আসবেন না। এই দলে রয়েছে বিরাট কোহালি, অজিঙ্ক রাহানে, শামি, চেতেশ্বর পূজারার মতো ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়রাই আসল। তাঁরা খেলে বলেই স্পোর্টস জনপ্রিয় হয়। প্রশাসকরা খেলোয়াড়দের কাজটা সহজ করে দিতে পারেন।’
এমএইচবি