টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলাটা নেহায়তই কম নয়। প্রায় দুই যুগের পথচলার বেশির ভাগ জুড়েই রয়েছে হতাশার চিত্র। সর্বশেষ ভারত সফরটাতেও রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। এরপর থেকেই অনেকেই বলছেন সময় এসেছে নতুন করে পরিকল্পনা সাজানোর।
এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। সত্যি সত্যি আমরা একটা প্ল্যান করেছি যেটা আপনারা আগামী দুই তিনমাসের মধ্যে দেখবেন। টেস্ট ক্রিকেটে এ ধরণের পরিস্থিতি ফেস করার জন্য আমরা একটা দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করেছি। যেটা আপনারা দেখতে পারবেন, আমি মনে করি এটা অনেক কাজে দিবে, অন্তত ব্যাটিংয়ে ভালো হবে।’
ঘরোয় ক্রিকেটে অবকাঠামো ঢেলে সাজানোর প্রশ্নে পাপনের জবাব, ‘এটা আমার মনে হয়না, আপনারা বোধহয় ঘরোয়া লীগ দেখেন না। কারণ এখন ঘরোয়াতে কি সমস্যা আমাকে বলেন। আগের কথা বলতে পারেন আপনি। কিন্তু এখন কি সমস্যা?’
‘এখন আমরা ৬ ইঞ্চি ঘাস দিয়ে খেলছি, তৃতীয় বিভাগে খেলা হচ্ছে ৪ ইঞ্চি ঘাসে। পেসাররা সব উইকেট নিচ্ছে, এখন না আগেই হয়নি সেজন্য বলেন। এখন আমরা করছি এবং পেসাররা তো সুবিধা পাচ্ছে , বেশিরভাগ উইকেট পেসাররাই নিচ্ছে। স্পিনাররা ডোমিনেট করছে না।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে মনযোগ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে বসেন নাজমুল হাসান পাপন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে মনযোগ দিয়ে লাভটা হবে কি? আপনি দেখেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে এখন, আমরা তো স্পোর্টিং উইকেট করছি, বাউন্সি, পেসারদের জন্য। একটা অনূর্ধ্ব-১৯ দল সিরিজ খেলছে আবার ইমার্জিং কাপ খেলছে, জাতীয় দল নেই। তাহলে যে সমস্ত বোলার আছে তাদের বিপক্ষে ব্যাট করে ওরা কি শিখবে?’
ব্যাটিং ব্যর্থতার পেছনে ভালো মানের বোলার না থাকারও দায় দেখছেন বিসিবি সভাপতি, ‘আমাদের তো ওরকম বোলারও লাগবে। আপনি শুধু পিচ তৈরি করলে তো হবেনা, ভালো বোলার লাগবে যাদের খেলে তাদের অভ্যস্ত হতে হবে। ওই কোয়ালিটির বোলার তো লাগবে, বিশ্বমানের বোলারদের সাথে খেলে এসেছে তারা। আমাদের বোলিংয়ে ধারটাও বাড়াতে হবে।’
এমএইচবি