আগের লেগে ঘরের মাঠে নেইমার-এমবাপ্পে-কাভানিকে ছাড়াই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়েছিলো প্যারিস সেইন্ট জার্মে। সেই আত্মবিশ্বাসেই বোধ হয় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছিলেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল। তবে তার সেই কৌশল কাজে লাগেনি।
শেষ দুই মিনিটে এমবাপ্পে ও সারাভিয়ার গোলে ২-০তে পিছিয়ে থাকার পরও শেষ মুহূর্তে সেই দুই গোল শোধ করে রিয়াল মাদ্রিদকে জিততে দেয়নি প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
খেলার ১৭তম মিনিটে ইসকোর কাছে বল পাঠান ভালভার্দে। প্রথম প্রচেষ্টায় শট নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, কিন্তু বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় ছিলেন বেনজেমা। গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি ফরাসি স্ট্রাইকার।
পিএসজি প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল। শেষদিকে লাল কার্ড দেখতে পারতেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। ডি বক্সের ভেতরে পিএসজি ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দিকে ফাউল করেন তিনি। তবে ভিএআরের রিপ্লেতে দেখা যায় ফাউল করেছিলেন পিএসজির ইদ্রিসা গুয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নেইমারকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। তাদের আক্রমনের ধার বাড়লেও কমেনি রিয়ালের গোল করার প্রচেষ্টাও। তবে পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের কারণে ব্যর্থ হয় তাদের লক্ষ্যভেদ করা। ৬৪তম মিনিটে ম্যুনিয়েরের ট্যাকেলে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যাজার্ড। তার বদলি হিসেবে নামেন গ্যারেথ বেল।
রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি আসে বেনজেমার পা থেকেই। ৭৯তম মিনিটে মার্সেলোর ভাসিয়ে দেওয়া ক্রসে পোস্টের একদম কাছ থেকে নেওয়া বেনজেমার হেড ঠেকানোর কোনো সুযোগই ছিল না।
তবে দ্বিতীয় গোল হজমের মাত্র ২ মিনিট পরেই ভারানের ভুলে বল পেয়ে সহজ এক গোলে ব্যবধান কমিয়ে আনেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তখনও শেষ হয়নি নাটকীয়তা। এর দুই মিনিট পর আবারও গোল শোধ। পিএসজির হয়ে এই গোলটি শোধ করেন পাবলো সারাবিয়া। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
এমএইচবি