বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২০ সালে একটি টেস্ট আয়োজনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। একইসঙ্গে তাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের বিষয়টিও বাতিল হয়েছে।
২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত কেবল তিনটি টেস্ট খেলতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। বর্তমান আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে টাইগারদের বিপক্ষে টেস্ট ও আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রোম।
তিনি বলেন, অন্য সব আইরিশ সমর্থকের মতো আমরাও টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি-তিন ফরম্যাটেই খেলতে চাই। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতায় পরের বছর টেস্ট আয়োজন বাদ দিতে হয়েছে। এই টেস্ট ম্যাচটি আয়োজনের পেছনেও তেমন তাৎপর্য নেই, যেহেতু এটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত না। ফলে কার্যত একটি প্রীতি ম্যাচের জন্য ১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ হবে, যা এই টেস্ট আয়োজনের লভ্যাংশ কাভার করতে পারবে না।
ডিউট্রোম বলেন, জিম্বাবুয়ের চেয়ে প্রায় অর্ধেক বরাদ্দ আমাদের, আইসিসির পূর্ণ সদস্যের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ আসেনি এখনও। যদি আরও অনেক প্রতিষ্ঠিত সদস্যের চেয়ে আইসিসির বরাদ্দের বাইরে আমাদের আয় বেশি, তবে বর্তমান অবস্থায় রূপান্তরের প্রক্রিয়াটি মসৃণ করতে এটি যথেষ্ট নয়।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে আগামী মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের যাওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আয়োজনে আয়ারল্যান্ডের ব্যয় হতো ১.১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার। কিন্তু এই অর্থ ব্যয় করার সামর্থ্য নেই আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তভুক্ত ছিল না। তাই আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড টেস্টের পরিবর্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড একটি টি-টোয়েন্টি আয়োজন করার কথা ভাবছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ সামনে রেখে সাদা বলের ক্রিকেট আয়োজনের দিকেই মনযোগ দিতে চায় তারা।
আরআইএস