ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে (চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর)
পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ দিয়েই শেষ হলো তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যাত্রাবাড়ী ক্রীড়া চক্র। ৪ উইকেটে হারিয়েছে সবুজ বাংলা ক্রীড়া চক্রকে। তবে এই ম্যাচকে ঘিরে আম্পায়ারের দিকে অভিযোগের তীর ক্লাবটির খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের। কান্নায় ভেসেছেন ক্রিকেটাররা।
মাঠে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিছার ক্রিকেট বোর্ডেও পাবেন না; এমন শঙ্কায় সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে গেলেন সবুজ বাংলা ক্রীড়া চক্রের ম্যানেজার।
যাত্রাবাড়ি ক্রীড়া চক্রের কাছে হেরে সবুজ বাংলা ক্রীড়া চক্রের হাতছাড়া হয়েছে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ শিরোপা। পুরো লীগজুড়ে চলা পক্ষপাতিত্ব, বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ এই ম্যাচেও ছিল। আম্পায়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েও সবুজ বাংলা জানে, কোনো কাজ হবে না।
ফতুল্লা স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত ম্যাচে যা ঘটেছে, সত্যিই তা ক্রিকেটের জন্য কলঙ্কজনক এক অধ্যায়। সবুজ বাংলার বিপক্ষে কখনো স্ট্যাম্পিং না দেয়া, কখনো এলবিডব্লিউর আউট দেয়ায় তর্কাতর্কি হয়েছে। এমনকি খেলা বন্ধ করে মাঠ ছেড়ে বাইরেও চলে গেছেন সবুজ বাংলার ক্রিকেটাররা। তাদের অভিযোগ আম্পায়ার ম্যাচ হারানোর ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছিল।
বারবার বাধাগ্রস্ত হওয়া ম্যাচ শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়েছে। যেখানে বাধাগ্রস্ত সবুজ বাংলার ১৪০ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় যাত্রাবাড়ি। তাদের উল্লাসটাও ছিল দেখার মতো। কোনো অভিযোগও নেই ক্লাবটির।
২৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন যাত্রাবাড়ী। সমান ২৬ পয়েন্ট সবুজ বাংলা ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের। কিন্তু বেশি জয়ে রানার্সআপ গুলশান। এতেও আপত্তি সবুজ বাংলার। লীগের প্রথম পর্বে হেড টু হেড কাউন্ট করা হয়েছিল। ভুল স্বীকার করেছে সিসিডিএম। তবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নয়।এক লীগে দুই নিয়ম। রানার্সআপ হতে না পারায় আইনের আশ্রয় নেয়ার কথাও বলছে সবুজ বাংলা ক্লাব।
এই ম্যাচকে ঘিরে মাঠে ছিল বিসিবির নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের ব্যপক উপস্থিতি। যাত্রাবাড়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সতর্ক ছিল বোর্ড দাবি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের।ঘরোয়া ক্রিকেটের নিচের লীগগুলোতে এমন কলঙ্কিত অধ্যায়ে লজ্জিত ক্রিকেটাররা। কিন্তু সতিই কি লজ্জিত ক্রিকেট বোর্ড, প্রশাসক, কর্তারা?
সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর
আরআইএস