চারদিকে উত্তেজনার শেষ নেই এমনিতেই, স্বাধীনতার প্রশ্নে বহুদিন ধরেই স্পেনের কাতালোনিয়ার পরিবেশ উত্তাল। বুধবার দিবাগত রাত একটায় অনুষ্ঠেয় এল ক্লাসিকো অর্থাৎ বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল মাঠের দ্বৈরথ সেটা আরও বাড়াবে এটুকু নিশ্চিত করেই বলা যায়।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দীর লড়াই মানেই তো ভিন্ন এক আমেজ। চারদিকে উত্তেজনার ছাপ। ফুটবল মাঠে এক আগুনে লড়াইয়ের অপেক্ষা। পরিসংখ্যানেও প্রমান মেলে তার। লা লীগায় ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট করে অর্জন দুই দলেরই, গোল ব্যবধানে মাত্র দুই গোলের পার্থক্য গড়ে বার্সেলোনা শীর্ষে।
অতীতের পরিসংখ্যানটাও সমান। দুই দলই লীগে একে অন্যকে হারিয়েছে ৭২ বার! অর্থাৎ লীগে রিয়াল বার্সাকে হারিয়েছে ৭২ বার আবার বার্সাও রিয়ালকে হারিয়েছে ৭২ বার। ৩৪টি ম্যাচে হয়েছে ড্র। এখানেও গোল ব্যবধান মোটে দুই! রিয়াল করেছে ২৮৬ গোল, বার্সেলোনা করেছে ২৮৮ গোল।
গত কয়েক বছরে রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্স আগুনে লড়াইয়ে খানিক জল ঠেলেছে। একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলছে বার্সেলোনা। ২০১৬ সালের এপ্রিলের পর আর এল ক্লাসিকো জেতা হয়নি মাদ্রিদিস্তাদের। গত বছর ন্যু ক্যাম্পে ৫-১ গোলে হারের লজ্জাও সঙ্গী হয়েছে রিয়ালের। কোপা দেল রে’তে সর্বশেষ দেখাতেও রিয়ালকে তাদের মাঠে এসে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে গেছে কাতালানরা।
এর মাঝেই নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে পুরো কাতালোনিয়া জুড়ে। অন্য ম্যাচগুলোয় সাধারনত বাড়ি থেকেই সরাসরি মাঠে আসেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। কিন্তু এবার ম্যাচ শুরুর আগেই আসতে হবে হোটেলে, সেখান থেকে একসঙ্গে টিম বাসে করে সবাই যাবেন ন্যু ক্যাম্পে।
অন্যদিকে নিজেদের শেষ অনুশীলন করে বার্সেলোনায় আসবেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। মাঠের খুব কাছে, মাত্র ৬০০ মিটার দূরত্বে প্রিন্সেস সোফিয়া হোটেলে থাকবেন তারা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে বিমান থেকেই না নামার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মাদ্রিদ কতৃপক্ষ।
বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তেমিউ জানিয়েছেন, এবার শত বাধার মুখেও এল ক্লাসিকো আয়োজন করবে বার্সেলোনা, ‘ক্লাসিকো আরো একবার স্থগিত হবে না। খেলা হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব খেলাটা হতে দেওয়া। আমরা এখন একটা সংকটময় সময় পার করছি, তবে এ রকম সময়ে ফুটবল খেলা যাবে না, এমন নয়। যে-ই শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ের প্রক্রিয়া চালাক, তাতে শান্তি থাকতে হবে। ক্লাসিকো হচ্ছে জীবনের উদযাপন।’
এমএইচবি