বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হয়েছেন জয়া চাকমা। আগামী এক বছর জয়া আন্তর্জাতিক নারী ফুটবলে মূল স্তরের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় চারজন নারী ফিফা রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে দুজন ভারতের আর একজন করে আছেন নেপাল ও ভুটানের। এবার ফিফার পঞ্চম নারী রেফারি হয়ে গেলেন জয়া চাকমা।
ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য গত ২৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পরীক্ষা দিয়েছিলেন জয়া চাকমা। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) এক মেইল বার্তায় ফিফা রেফারি হিসেবে জয়া চাকমার অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সুখবর পাওয়ার পর দারুণ খুশি জয়া। তিনি বলেন, এই খবরটির অপেক্ষায় ছিলাম। ফিফা থেকে অনুমোদনের খবর পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। এই অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। এতদিন ধরে যে কষ্ট করছিলাম তারই স্বীকৃতি পেয়েছি। এখন দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। নির্ভুলভাবে ম্যাচ পরিচালনা করাটাই আমার লক্ষ্য।
ফিফার স্বীকৃতি মেলায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ফিফার তালিকাভুক্ত রেফারি হয়ে যাবেন জয়া। কিছুদিনের মধ্যে ফিফা থেকে ব্যাচ, জার্সিসহ অন্য সরঞ্জামাদি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর এই পাহাড়ি কন্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন দেশ-বিদেশের ভেন্যুতে। তার স্বপ্নটাও বেশ বড়, বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপের ম্যাচে বাঁশি বাজানোর।
বাংলাদেশের নারী রেফারিদের ইতিহাসে মাইলফলক গড়েছেন জয়া চাকমা এবং সালমা আক্তার মনি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে ফিফা রেফারি হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণের সর্বশেষ ধাপটা পার হতে পেরেছেন দুজনই। অপেক্ষা ছিল ফিফার অনুমোদনের। সেটিও পেয়ে গেছেন জয়া চাকমা। তবে বয়স কম হওয়ায় সালমাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
খেলোয়াড়ি জীবনের পর ২০১০ সালে রেফারিংয়ে মনোনিবেশ করেন রাঙামাটির মেয়ে জয়া। এর আগে লেভেল ৩, ২ ও ১ কোর্স শেষ করে জাতীয় পর্যায়ের রেফারি হয়েছেন। পরে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা রেফারি হওয়ার ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলেছেন জয়া। পাহাড়ি কন্যার খ্যাতি পাওয়া জয়া প্রায় ১০ বছর ধরে রেফারিং করছেন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে। ভারতের সুব্রত কাপে, নেপাল-ভুটান এমনকি এশিয়ার বাইরে ইউরোপে গিয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরআইএস