অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের সিলেট থান্ডার্স। অন্যদিকে আসরে প্রথমবারের মতো হেরে গেছে খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রাম পর্বের সপ্তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট-খুলনা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয় দুই তারকা আন্দ্রে ফ্লেচারের ১০৩* ও জনসন চার্লসের ৯০ রানের উপর ভর করে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩২ রানের স্কোর দাঁড় করায় সিলেট।
পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ বলে সব কয়টি উইকেচ হারিয়ে ১৫২ রান তোলে খুলনা। এতে ৮০ রানের বিশাল জয় পায় সিলেট। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় খুলনা। রহমতউল্লাহ গুরবাজ ফিরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। এরপর তৃতীয় উইকেটর জুটিতে সাইফ হাসান ও রাইলি রুশো ৭৪ রানের সংগ্রহ এনে দেন। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানে সাইফের বিদায়ের পর আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি খুলনা।
রুশো ৫২ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর ১২ রানে মুশফিক, ৭ রানে সামসুর রহমান, ৪ রানে ফিরেন মিরাজ। তবে ফ্রাইলিংক একটু স্বপ্ন দেখালেও তার ৪৪ রানের আউটের পর সে স্বপ্ন ভেঙে যায় খুলনার। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা আশা যাওয়ার মাঝে থাকেন।
সিলেটের পক্ষে সান্তোকি তিনটি, মনির হোসেন ও এবাদত দুইটি আর নাভিন নেন শিকার করেন একটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ২৩২ রান। বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে সিলেটের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট থেকে। ফ্লেচারের সঙ্গে সিলেটের রান সংখ্যায় দারুণ সংগ্রহ এনে দেন জনসন চার্লস। দুইজনই গড়েন ১৫০ রানের জুটি।
আসরেরর প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ফ্লেচার খেলেন ৫৭ বলের অপরাজিত ইনিংস। যেখানে এর আগে ২৬ বলে ৫০ আর ৫৩ বলে করেন সেঞ্চুরি। দুর্দান্ত এ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ৫ ছক্কা।
আরেকটি সেঞ্চুরি পেতে পারত সিলেট। শতকের খুব কাছে গিয়েও ইতিহাস গড়তে পারেননি সিলেটের ভিনদেশি তারকা জনসন চার্লস। মাত্র ৩৮ বলে ১১ চার ৫ ছক্কায় ৯০ রানের ইনিংস খেলেন এ ক্যারিবিয়ান। এছাড়া ব্যাট হাতে সিলেটের আর কেউ বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেনি।
ওপেনার মাজিদ ২, মিঠুন ৩, অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও মিলন ১১ রান করে আউট হন। খুলনার পক্ষে রবি ফ্রাইলিংক দুটি ও শহিদুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও রবিউল হক নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে তিন ম্যাচের একটিতেও হারেনি খুলনা। চতুর্থ ম্যাচে গিয়ে পরাজয়ের স্বাদ পায় মুশফিকের দলটি। অপরদিকে টানা চার ম্যাচ পরাজয়ের পর প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে সিলেট।
এমএইচবি