পাকিস্তানের মাটিতে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার সিদ্ধান্তে অনড় বিসিবি। নিরাপত্তা পরিদর্শকের সফর সংক্ষিপ্ত করার রিপোর্টের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। বিষয়টি পাকিস্তানকে ক্রিকেট বোর্ডকে বোঝাতে ব্যর্থ হলে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার পড়বে আইসিসির উপর- বিসিবি থেকে এমন ইঙ্গিতই মিলছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শুধুমাত্র তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য আসন্ন পাকিস্তান সফরে জাতীয় ক্রিকেট দল পাঠাতে রাজি থাকলেও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে চাওয়ার কথা জানিয়েছে। আর তাতে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কড়া ভাষায় বিসিবিকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের অসম্মতির কথাও জানিয়েছে।
পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান এ প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে বলেন, বিসিবি আমাদের জানিয়েছে তারা পাকিস্তানে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে, কিন্তু টেস্ট খেলতে চাইছে না। আমরা জবাবে কঠোর থেকে বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছি, কেনো তারা শুধু টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বলছে? এখন আর আমাদের টেস্ট ক্রিকেট অন্য দেশে গিয়ে খেলার উপায় নেই।
তিনি বলেন, আইসিসি আমাদের সিকিউরিটি প্ল্যানকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে এই মুহূর্তে। সবকিছু এখন পর্যন্ত ঠিকই আছে। বাংলাদেশের কাছে জানতে চাওয়া যে ঠিক কি কারণে তারা টেস্ট খেলতে চাচ্ছে না। আলোচনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন, তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্টের সিরিজের প্রস্তাব ছিল পিসিবির পক্ষ থেকে। কিন্তু পাকিস্তানে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে যাওয়া বিশেষ দলের পরামর্শেই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলতে চায় বিসিবি।
আগামী ২৩, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো। সিরিজের আগে পাকিস্তানে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে যায় বিশেষ দল। তাদের রিপোর্টেই ছিল সফর সংক্ষিপ্ত করার পরামর্শ। কেননা, টি-টোয়েন্টি হলে যে সিরিজ এক সপ্তাহে শেষ করা সম্ভব, টেস্ট যুক্ত হলে সময় লাগবে প্রায় এক মাস।
বিষয়টি পাকিস্তানকে বোঝাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত পিসিবি যদি রাজি না হয় বাংলাদেশের প্রস্তাবে, তখন বল গড়াবে আইসিসির কোর্টে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাই।
আরআইএস