অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফক্স স্পোর্টস প্রকাশ করেছে গত এক দশকের সেরা টেস্ট দল। সেই একাদশে স্থান করে নিয়েছেন ধারাবহিক পারফর্ম করে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীম। এই দশকে ৫৩ ম্যাচ খেলে ৩৮.৮০ গড়ে মুশফিকুর রহীম ৩ হাজার ৫৩১ রান করেছেন। যার মধ্যে উইকেটরক্ষক হিসাবে ২ হাজার ৮৬০ (গড় ৪০.৮৫) রান পেয়েছেন।
উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়ানো মুশফিকের আছে ৬ সেঞ্চুরি। উইকেটরক্ষক হিসাবে তাকে দশকের সেরা একাদশে রাখাকে বিতর্কিত বলছে ফক্স ক্রিকেট। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সাদা পোশাকে উত্তরণের পেছনে মুশফিকের অবদানকে বিবেচনা করেছে তারা। আর তাতেই বিজে ওয়াটলিং ও দিনেশ চান্দিমালদের পেছনে ফেলে একাদশে মুশফিক।একাদশ নির্বাচনের সময় সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ বলে তাকে বিবেচনা করা হয়নি বলে জানায় ফক্স স্পোর্টস।
সেই একাদশে ওপেনার হিসাবে অনুমিতভাবেই আছেন ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। গত দশকে ২৩ টেস্ট সেঞ্চুরি করা কুক ৪৬.৫১ গড়ে রান করেছেন ৮ হাজার ৮১৮। ডেভিড ওয়ার্নারেরও এই দশকে টেস্ট সেঞ্চুরি ২৩ টি। ৪৮.৩৩ গড়ে রান ৭ হাজার ৯ রান। দশকের প্রথম ভাগে ব্যাট হাতে দারুণ খেলা কুমার সাঙ্গাকারা আছেন একাদশে। মাত্র ৪৬ ম্যাচ খেলেছেন, তাতে ১৭ সেঞ্চুরিতে ৬১.৪০ গড়ে সাঙ্গাকারা রান করেছেন ৪ হাজার ৮৫১। দশকের পুরোটা সময় না খেলা এবি ডি ভিলিয়ার্সও আছেন একাদশে। এই সময়ে ৫৭.৪৮ গড়ে রান করেছেন ৫ হাজার ৫৯, সেঞ্চুরি ১৩ টি।
বল টেম্পারিং করে ১ বছর ক্রিকেটের বাইরে থেকেও এই দশকে ২৬ টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেন স্টিভ স্মিথ। ৬৩.১৪ গড়ে এই সময়ে স্মিথের রান ৭ হাজার ০৭২। স্মিথের চেয়ে ১ টি সেঞ্চুরি বেশি করা ভিরাট কোহলিও আছেন একাদশে। এই সময়ে ৫৪.৯৭ গড়ে কোহলি রান করেছেন ৭ হাজার ২০২। একাদশে একমাত্র স্পিনার হিসাবে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই দশকে ২৭ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া অশ্বিন নিয়েছেন ৩৬২ উইকেট। ১৫ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ডেল স্টেইন (২৬৭ উইকেট), ২০ বার পাঁচ উইকেট নেওয়া জেমস অ্যান্ডারসন (৪২৭ উইকেট) ও ১৮৩ উইকেট পাওয়া কাগিসো রাবাদা আছেন একাদশে।
ফক্স ক্রিকেটের চোখে দশকের সেরা টেস্ট একাদশ :
অ্যালিস্টার কুক (ইংল্যান্ড), ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত), ডেল স্টেইন (দক্ষিণ আফ্রিকা), জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড) ও কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)। দ্বাদশ খেলোয়াড়- কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)।