সুযোগ পাওয়া প্রথম তিন ম্যাচে পাননি কোন উইকেটের দেখা। ওভার প্রতি রান খরচেও তাসকিন আহমেদ ছিলেন উদার, ইকোনোমি প্রায় ১৩! তিন ম্যাচ পর আবার সুযোগ পেয়ে লাগিয়েছেন কাজে।
৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সবশেষ টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৭ সালে, টি-টোয়েন্টিও গতবছর মার্চে। জানুয়ারিতে বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্ম দিয়ে ফিরেছেন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে তবে চোটে পড়ে যান ছিটকে।
এরপর চোট কাটিয়ে ফেরেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের পর লঙ্কা সফরের ওয়ানডে দলে। তবে খেলা হয়নি কোন ম্যাচই। বছরের শেষদিন তাসকিনের কন্ঠে ঝরেছে জাতীয় দলে ফেরার তাড়না, ‘আসলে চেষ্টা করবো যে নতুন বছরটা যেন ভালো যায়। আর ২০১৯ সালে যেসব জিনিস পাওয়ার ইচ্ছে ছিল সেসব যেন ২০২০ সালে পাই।’
‘আল্লাহ যেন সুস্থ রাখে, মনের ইচ্ছেগুলো যেন পূরণ হয়। নিজের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি ও ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি, বাংলাদেশকে জেতাতে যেন পারি এসবই লক্ষ্য।’
অভিষেকের পর ছিলেন দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে খেলেও পেলেন ৫৬ টি ম্যাচ। গত দেড় বছরের বেশি সময় অনিয়মিত হয়ে পড়া তাসকিন আবারও হতে চান নিয়মিত, ‘মনের ইচ্ছে বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাটে আগের মত সুযোগ পাওয়া। দলের একজন মেইন প্লেয়ার হওয়া, ৪-৫ বছর যেমন ছিলাম। মাঝখানে এক দেড় বছর জাতীয় দলে অনিয়মিত। তো আমার স্বপ্ন থাকবে যেন আমি আবার ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলে জায়গা পাকা করতে পারি।’
তাসকিনের মত লিটন অবশ্য নিজের নতুন বছরের লক্ষ্য খুব একটা করেননি প্রকাশ। উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমার ভাই ওর (তাসকিন) মত এত বড় কোন ইচ্ছে নাই (হাসি)। বছর অনেক বড়, অনেকগুলো দিন। নেক্সট দিন কি হবে এটা আমার চিন্তা। সামনের দিনগুলো কীভাবে ভালো আসবে, কীভাবে কি করলে আমি উন্নতি করতে পারি ক্রিকেটসহ সবকিছুতে এটাই লক্ষ্য।’