যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স’ এর মতো আন্দোলন গড়ে উঠেছে, যার প্রতিফলন পড়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। ক্রিকেট কিংবা ফুটবলের দলগুলোকে খেলা শুরুর আগেই হাঁটু গেঁড়ে বসে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। তবে টোকিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন কোনো সুযোগ থাকবে না ইভেন্টে।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ৩ হাজার ৫৪৭ জন অ্যাথলেটদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখেছে, এদের ৬৭ শতাংশই মনে করেন অলিম্পিকে কোনো ধরণের প্রতিবাদ করা যাবে না, আর ৭০ শতাংশ মনে করেন দৃশ্যমান কোনো প্রতিবাদ করা যাবে না। এটি অলিম্পিকের ‘৫০’ নম্বর নিয়ম হিসেবে আছে, যা বহাল থাকবে কিনা সেই প্রশ্নে অ্যাথলেটদের সাথে আলোচনা করা হয়। এমন নিয়মের উদ্দেশ্য হলো, অলিম্পিকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। তাই এমন কিছু করতে দেখা গেলে সেই ক্রীড়াবিদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এরপর থেকে।
ক্রিস কোভেন্ট্রি নামের একজন ক্রীড়াবিদ, দুইবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং বর্তমানে অলিম্পিকের অ্যাথলেটস কমিশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, মাঠে এমন প্রতিবাদ নিজের কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পারে, যা মূল ইভেন্ট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে। তাই এমন কিছু করা উচিৎ নয় যা মনোযোগ নষ্ট করে।
তবে খেলোয়াড়দের সংগঠন ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ব্রেন্ডন শোয়াবের মতে, খেলোয়াড়রা প্রথমে মানুষ এবং পরে অ্যাথলেট। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন মানেই মেয়াদোত্তীর্ণ নিয়মে চলছে অলিম্পিক। আর এমন সুযোগ না দেয়া মানেই যাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তাদের প্রতিবাদ করতে না দেয়া।
চলতি বছরের আগামী ২৩ জুলাই থেকে অলিম্পিক এবং ২৪ আগস্ট থেকে প্যারা অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।