ভারতে রেসলিংকে জনপ্রিয় করার পেছনে কুস্তিগীর সুশীল কুমারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। অলিম্পিকে রৌপ্যজয়ী এই তারকা একক ইভেন্টে দুবার মেডেল জয়ের পাশাপাশি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রেসলিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নজরে এসেছিলেন। তবে এবার খুনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুস্তির জন্য বিখ্যাত দিল্লীর ছত্রশাল স্টেডিয়ামের বাইরে গোলাগুলির শব্দে পুলিশ এসে হাজির হয়ে জানতে পারেন, কিছুক্ষণ আগেই সেখান থেকে সুশীল পালিয়ে গেছেন। ১৮-২০ জনের গণ্ডগোলের সময়ে তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সাগর ঢঙ্কার নামের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তবে এই ঘটনার পর সুশীলকে পলাতক থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি। দিল্লী সরকারের ক্রীড়া বিভাগে কর্মরত এবং স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে বসবাসরত এই কুস্তিগীরের খোঁজ দেয়ার জন্য এক লক্ষ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। গত ২৩ মে যখন তাকে দিল্লীর একটি মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে, তখন সুশীলের ঘাড়ে ঝুলছে খুন, অপহরণ এবং স্টেডিয়ামের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার মামলা।
অবশ্য সবকিছু অস্বীকার করেছেন সুশীল। তার আইনজীবী প্রদীপ রানা জানিয়েছেন, দুই দল কুস্তিগীর সেখানে গণ্ডগোল করছিলো। সুশীল সেখানে পৌঁছার পর তারা পালিয়ে যায়। কোনো সাক্ষী না থাকায় এর কলকাঠি নাড়ছে কিছু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, যাদের সাথে আগে সুশীলের সমস্যা ছিলো। অবশ্য আখড়াগুলো পালোয়ান এবং মাস্তানদের আড্ডা হওয়ায় সুশীল কিংবা যেকোনো কুস্তিগীরের উপরেই যেকোনো অপরাধের সহযোগিতার অভিযোগ আনা যায় বলে মনে করেন তিনি।
সুশীল কুস্তিকে ভারতে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এমনকি ছত্রশাল স্টেডিয়ামের পরিত্যক্ত এক গ্যারেজকে কুস্তির তীর্থেও রূপান্তর করেছেন এই অলিম্পিক পদকজয়ী। তবে তার গ্রেপ্তারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়।