আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে খেলোয়াড়দের ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’বা জিপিএসের আওতাধীন রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আয়োজক কমিটির প্রধান তোশিরো মুতো জানালেন, জিপিএস নজরদারী নয় বরং করোনা কোথায় ছড়াচ্ছে সেই তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। আওতাধীন থাকবেন বৈশ্বিক গণমাধ্যমের কর্মীরাও।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে সুরক্ষা জোরদার করেছে জাপান। তবে ভেতরের খবর, তাতে কোনো সমস্যা হবেনা আগামী দেড় মাস পর শুরু হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারীদের। ব্রিটেন থেকে সফরে আসা খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্টদের ছয় দিন কোয়ারেন্টিন পালনের কথা থাকলেও ব্রিটিশ প্রতিনিধিদের ব্যাপারে নিয়ম শিথিল হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। ফলে তাদের এখন তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকলেই চলছে। তাই করোনার এমন সতর্কতায় কোনো দর্শক না থাকলেও জিপিএসের আওতায় থাকবেন প্রায় সবাই।
আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অলিম্পিক আয়োজিত হবে, সাথে ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর প্যারাঅলিম্পিক আয়োজিত হবে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশগুলো অংশ নিতে না পারলে সেটি বড় পরিতাপের বিষয় হবে বলে জানিয়েছেন মুতো। তবে কতটা সতর্কতার সাথে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন হয় সেটিই দেখার বিষয়।