ফুটবল থেকে চিরবিদায় নিলেন অ্যাগুয়েরো

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম ফুটবল থেকে চিরবিদায় নিলেন অ্যাগুয়েরো

বার্সেলোনায় এসেছিলেন দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্নের এমন সমাপ্তি হয়তো অ্যাগুয়েরো নিজেও প্রত্যাশা করেননি। ন্যু ক্যাম্পে মাস চারেক আগেও হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে সেখানে বসেই পেশাদার ফুটবলকে চিরবিদায় জানালেন তিনি।

বাতাসে আগেই গুঞ্জন ছিল। বুধবার শুধু সেটার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন অ্যাগুয়েরো। ন্যু ক্যাম্পে ছলছল চোখে ঘোষণা দিতে গিয়ে কান্না আর থামাতে পারলেন না তিনি। রুমালে চোখের পানি মুছতে মুছতে মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই সবধরনের ফুটবল থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।

আর্জেন্টিনা, ম্যানচেস্টার সিটি ও বার্সেলোনার হয়ে খেলা অ্যাগুয়েরো অবসরের কথা জানিয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটা এই কথা জানানোর জন্য যে, আমি সব ধরনের পেশাদার ফুটবলে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা খুবই কঠিন সময়।’

কারণ জানাতে গিয়ে অ্যাগুয়েরো বলেন, ‘প্রথম ব্যাপার হচ্ছে আমার স্বাস্থ্য। আপনারা জানেন এক মাস আগে হার্টে সমস্যা হয়েছিল। আমি ভালো কিছু ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিয়েছি। তারা আমাকে বলেছে সবচেয়ে ভালো হয় যদি খেলা বন্ধ করে দেই। আমি এক সপ্তাহ বা দশদিন আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

নিজের পরবর্তী জীবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মাথা উঁচু করে বিদায় নিচ্ছি। আমি খুশি। আমি জানি না পরের জীবনে কী অপেক্ষা করছে আমার জন্য। কিন্তু এটা জানি, অনেক মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তারা চায় আমি যেন সেরা জায়গাতে থাকি।’

ম্যানচেস্টার সিটিতে এক দশক কাটানোর পর চলতি মৌসুমেই ক্লাব ছাড়েন অ্যাগুয়েরো, যোগ দেন বার্সেলোনায়। ক্লাবটির হয়ে আলাভেজের বিপক্ষে খেলার সময়ই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তখন জানানো হয়, তিন মাসের জন্য ছিটকে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু এখন শেষ হয়ে গেল ক্যারিয়ারই।

অ্যাগুয়েরোকে সবসময়ই বিশেষভাবে স্মরণে রাখবেন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরা। ২০১১ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর এখানে ১০ বছর কাটিয়েছেন তিনি। ইত্তেহাদের দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দারুণ সব মুহূর্ত।

ক্লাবটির হয়ে ৩৯০টি ম্যাচ খেলে ২৬০ গোল করেছেন তিনি। জিতেছেন ১৫টি শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে আগুয়েরো খেলেছেন ১০১ টি ম্যাচ। করেছেন ৪১ গোল। দেশটির হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। চলতি বছর কোপা আমেরিকাজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন অ্যাগুয়েরো।

এমইউ