বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ থাকাকালীন কড়া মন মানসিকতা, দলে উপর কর্তৃত্ব, সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠে আসে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। তাই কোচের পদ ছেড়ে একরকম পালিয়েই যান তিনি। এদিকে শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিয়ে সেখানেও দলের উপর হস্তক্ষেপ আর ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত রেষারেষিতে বহিষ্কার হওয়ার মুখে হাথুরু!
শ্রীলঙ্কান 'সানডে টাইমসের' এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হাথুরুর বহিষ্কার হওয়ার বিষয়টি। ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সঙ্গে হাথুরুর চুক্তি হলেও, চুক্তি শেষ করার আগেই কোচের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। বিনা জটিলতায় তাকে কিভাবে প্রধান কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা যায় এখন সে প্রক্রিয়াই খুঁজে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে এসএলসি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারের পর দলের নির্বাচক প্যানেল থেকেও ছেঁটে ফেলা হয়েছিল হাথুরুসিংহেকে।
শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশের কোচ থাকাকালীনও হাথুরু বিবাদে জড়িয়েছিলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। দলের ক্রিকেট কাঠামোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্ব-ইচ্ছায় নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার কারণে বোর্ড আর খেলোয়াড় দুই পক্ষই ক্ষিপ্ত ছিলেন তার প্রতি। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হারের পর আর বাংলাদেশেই পা দেননি হাথুরু। চুক্তি শেষ না করেই বাংলাদেশ অধ্যায়কে বিদায় বলে দেন তিনি।
তবে এবার হয়তো আর চুক্তি শেষ না করেই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো হচ্ছেনা হাথুরুর। শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিয়ে ১৩ মাস কোচের ভূমিকায় থাকার পর হাথুরুর অর্জনের খাতা প্রায় শূন্য। তার অধীনে খেলা ৪২ ম্যাচের ২৪টিতেই হেরেছে লঙ্কানরা। হারের হার ৫৭ ভাগ!
জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারা যুগের পর শ্রীলঙ্কার সুদিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে 'এসএলসি' ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাৎসরিক ৯০ মিলিয়ন শ্রীলঙ্কান টাকায় নিয়োগ দেয় হাথুরুকে। প্রত্যাশার চাপ আকাশচুম্বী হলেও তার সিকি ভাগও করে দেখাতে পারেননি এই কোচ। তাই বাধ্য হয়ে আকাশে ওরা অবাধ্য কোচকে ছেঁটে ফেলার চিন্তা- ভাবনায় এখন লঙ্কানরা।
এসএইচএস || দ্য সানডে টাইমস