কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে না। বুধবার সকালে সৈকতের একটি এলাকায় সাইনবোর্ড বসিয়ে সংরক্ষিত এলাকা উদ্বোধন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে রাতেই জেলা প্রশাসন জানায় সেখানে এমনকিছু আর হচ্ছে না!
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ সংরক্ষিত এলাকা গঠনের পূর্বের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানান।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। লাবণী পয়েন্টের বিজিবির উর্মি গেস্ট হাউস থেকে সি-গাল পয়েন্ট পর্যন্ত ১৫০ ফুট এলাকা নিয়ে এ সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয় তখন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে এসে সাগরে নেমে গোসল করেন পর্যটকদের বড় একটি অংশ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ একসঙ্গে গোসল করতে গিয়ে বিব্রত বোধ করেন নারীরা। তাই স্বস্তি নিয়ে গোসল করতে নারীদের জন্য এই বিশেষ জোন তৈরি করা হচ্ছে। এখন থেকে রক্ষণশীল নারী পর্যটকরা এই পয়েন্টে নেমে স্বস্তিতে গোসল করতে পারবেন। এজন্য সব সময় বিশেষ নজর রাখব আমরা।’
নারীদের জন্য তৈরি করা এই জোনে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক নারী ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য ও নারী বিচকর্মী নিয়োজিত থাকবেন বলে জানানো হয়। সৈকতের নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করে সাইবোর্ডও বসানো হয়।
তবে এই খবর প্রকাশের পর সারাদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনা শুরু হয়। বেশিরভাগ মানুষ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে হাস্যকর বলে সমালোচনা করেন। অনেকে বলেন, সৈকতে এমন আলাদা সংরক্ষিত এলাকা গঠন প্রশাসনের নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।
এসকেএইচ//