• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৯:৩২ পিএম

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ৩৭ সুপারিশ

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ৩৭ সুপারিশ
সাবেক পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের হাতে সুপারিশমালা তুলে দেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি নেতৃবৃন্দ- সংগৃহীত

সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ৩৭ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেই সুপারিশমালা সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাবেক এই মন্ত্রীর হাতে সুপারিশমালা তুলে দেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এ সময় সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৩৭ দফা সুপারিশমালা—

১. সারা দেশে বাস নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়েছে, মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সা, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন দেশে এখন প্রধান বাহন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এতে দুর্ঘটনা, যানজট ও যাতায়াত ব্যয়, জ্বালানি ব্যয় বেড়েছে। এসব ছোট ছোট যানবাহনের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ লক্কর-ঝক্কর যানবাহন অপসারণ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানসম্মত বাস-মিনিবাস নামানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।  

২. ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি গাড়ির দৃশ্যমান স্থানে যাত্রীসাধারণ যাতে সহজে বুঝে, সেই ধরনের ভাড়ার তালিকা ঝুলিয়ে রাখা এবং তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায় হচ্ছে কিনা তা সময়ে সময়ে মনিটরিং করা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। ঈদ-পূজা পার্বন, বৃহস্পতিবার বা সরকারি ছুটির আগেরদিন অথবা যাত্রীসাধারণে চাহিদা বুঝে সকাল-বিকাল হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

৩. যাত্রী অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করে একটি হটলাইন নম্বর চালু করা। যাত্রীসাধারণের অভিযোগ আমলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। গাড়িতে, বাসস্টান্ডে, বাস টার্মিনালে যাত্রী অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। বাসের ভেতরে অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর, গাড়ির নম্বর ও মালিকের মোবাইল নম্বর লিখে রাখার ব্যবস্থা করা।

৪. গণপরিবহণে চাদাঁবাজি এই সেক্টরের জন্য মরণব্যাধি ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। একজন চালককে তার গাড়ির মালিকের দৈনিক ইনকাম, দৈনন্দিন খরচ, চালক ও হেলপারের বেতন উঠানোর আগেই আয়ের একটি বড় অংশ চাঁদা দিতে হচ্ছে। তাই গণপরিবহণ সেক্টরে রাস্তায় বা টার্মিনালে মালিক-শ্রমিক বা অন্য কোন পক্ষের যে কোন প্রকার চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা।

৫. মাদক এখন পরিবহনখাতকে গিলে খাচ্ছে। চালকরা বাস টার্মিনালগুলেতে এমন কি চলন্ত গাড়িতেও প্রকাশ্যে মাদক নিচ্ছে। মাদকাসক্ত চালক-শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি এইখাতকে জরুরিভিত্তিতে মাদক মুক্ত করা।

৬. ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি আধুনিকায়ন করা। বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স প্রদানের পরীক্ষা নেওয়া হয় তা জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা। উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, মিরপুর ও দিয়াবাড়ি বিআরটিএ কর্তৃক প্রতিদিন ৪০০/৫০০ লাইসেন্স পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয় জোয়ারসাহারা বাসডিপো ও দিয়াবাড়ি বিআরটিএ অফিসের সামনে ছোট্ট একটি পরিসরে। যেখানে একটি বাস ঘেরানো সম্ভব নয়, সেখানে এতোবেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর টেস্ট নেওয়ায় চালকের সঠিক যোগ্যতা যাচাই প্রশ্নবিদ্ধ রেখে লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। এখানে সঠিক নিয়মে পরীক্ষা নিলে প্রতিদিন বড়জোড় ৫০ জনের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। আমরা মনে করি, ঢাকায় ২০/২৫ বিঘা জমির ওপর একটি মিনি স্টেডিয়াম করে যেখানে উচুঁ-নিচু ও পাহাড়ি পরিবেশ সৃষ্টি করে পাকারাস্তা, কাচাঁরাস্তা, কাদাঁরাস্তা, পিচ্ছিলরাস্তা এবং এসব রাস্তার রোড সাইন ইত্যাদি সমৃদ্ধ একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করে এখানে ঢাকা মহানগর ও আশেপাশের জেলার লাইসেন্স প্রত্যাশীদের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বিভাগীয় পর্যায়েও অনুরূপ পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। এছাড়াও বহু জেলায় কিছু কর্মকর্তা কর্তৃক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে, তা জরুরিভিত্তিতে বন্ধ করা।

৭. ডিজিটাল বাংলাদেশে গাড়ির ফিটনেস প্রদান পদ্ধতি আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। খালি চোখে দেখার পরিবর্তে ডিজিটাল মেশিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান অত্যন্ত জরুরি। যেখানেই নিবন্ধন হোক না কেন কাছের অফিসে গাড়ি হাজির করে যাতে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে পারে তার ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। 

৮. গাড়ির ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংকট মোকাবেলায় আউটসোর্সিং এর ব্যবস্থা করা জরুরি।

৯. সারাদেশে ট্রাফিক অফিস কর্তৃক মোটরযান আইনের জরিমানার অর্থ গ্রাহক কর্তৃক সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে আদায়ের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।

১০. সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহাণির ৪২ শতাংশই পথচারী কারণে ঘটে থাকে। এই প্রাণহানি কমাতে পারলে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। তাই ফুটপাত ও রাস্তা বেষ্টনি দ্বারা আলাদা করা। দেশব্যাপী নগর ও জেলায় জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুটপাত নির্মাণ, পদচারী সেতু, জেব্রাক্রসিং, আন্ডারপাস নির্মাণ ও ব্যবহারে বাধ্য করা।

১১. দেশব্যাপী বহুমাত্রিক পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন । একজন যাত্রী রেল বা লঞ্চ থেকে নেমে সহজে যাতে বাসে উঠতে পারেন বা বাস থেকে নেমে গলি সড়কে লেগুনা বা অটো বা ইজিবাইকে যাতে হয়রানি মুক্তভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পারে তার জন্য দেশের প্রতিটি মহানগর ও জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ কমিটি (আরটিসি)র মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা।

১২. রাস্তাঘাটে ছোট ছোট নির্মাণ ত্রুটির কারণে এখনো বড় বড় দুর্ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, জাতীয় মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন স্পটে রোড ডিভাইডারগুলো মারকারি দিয়ে চিহ্নিত করা না থাকায় ঘনকুয়াশায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কিন্ত এগুলো অপসারণ অথবা মারকারি দিয়ে চিহ্নিত করা।

১৩. সকল শ্রেণীর গণপরিবহনে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদির বক্স রাখার ব্যবস্থা করা।

১৪. দেশে কি পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। এক এক সংস্থা একেক রকম দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রদান করছে। আমরা মনে করি, দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান নিরূপন করে প্রকৃত সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন জররি। এতে করে এই সুপারিশ বাস্তবায়নের ফলে কি পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়-ক্ষতি কমছে তা নিরূপন সম্ভব। এই ক্ষেত্রে সরকার চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

১৫.  ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীতে সিটিং সার্ভিস এর নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করা। কম স্টপেজের নামে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সর্বশেষ গন্তব্যের যাতায়াত ভাড়া আদায় করা যাবে না।

১৬. প্রতিটি গণপরিবহনে আসনে সিট কভারের ব্যবস্থা করা। আসন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। সকল শ্রেণীর গণপরিবহনে পাখা চালুর ব্যবস্থা করা।

১৭.  সকলশ্রেণীর পরিবহনে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখা।

১৮. গণপরিবহনে যাত্রীসাধারণের অনুকূলে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে যাত্রী প্রতিনিধির মতামত প্রদানের সুযোগ দেওয়া।

১৯. বাস স্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত রাখা এবং যাত্রীদের বসার উপযোগী রাখা। বাস স্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি থেকে যাত্রী উঠা-নামা নিশ্চিত করা।

২০. প্রতিটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে সড়ক নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা। এই কমিটি তাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত বিষয়ক প্রশিক্ষণ, আলোচনা সভা, যাতায়াত ব্যবস্থা মনিটরিং করবে। যাতায়াতের সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ ট্রাফিক পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, থানা পুলিশ বা বিআরটিএ বা আরটিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তা নিরসন করবে।

২১. জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কমিটিতে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধি রাখা।

২২. বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখা।

২৩. সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ট্রাষ্টি বোর্ডে যাত্রীসাধারণের প্রতিনিধি রাখা।

২৪. সকল শ্রেণীর গণপরিবহনে সি সি ক্যামেরা স্থাপন করা।

২৫. পিকনিক, শিক্ষাসফর, জনসভা, ওরশ বা অন্য যেকোন ধর্মীয় অনুষ্টানে যোগ দেবার বাসে মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। ফুটপাতে বা সড়কের পাশে মাইক বা সাউন্ড বক্স ব্যবহার করে হকারি করা বা প্রচারণা করা বা জনসভা নিষিদ্ধ করা।

২৬. সড়ক-মহাসড়কে চলাচলরত সকল শ্রেণীর গণপরিবহনের সকল আসনের যাত্রীদের সিটবেল্ট বাধার ব্যবস্থা করা।

২৭. ছোট যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ব্যাটারীচালিত রিক্সা আমদানি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা। বাস-মিনিবাস আমদানি উৎসাহিত করা।

২৮. নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সংরক্ষিত আসন ইঞ্জিনের উপরে রাখা নিষিদ্ধ করা। দরজার সাথে লাগানো আসনগুলো নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

২৯. ঢাকা মহানগরীতে চলাচলরত সিটিবাসসমূহের সামনের চাকা পেছনে দরজা রাখার ব্যবস্থা করা এবং প্রতিটি সিটি সার্ভিসের বড় বাসে অর্থাৎ ৩৬ আসনের উর্ধ্বে সকল সিটি সার্ভিসের বাসে দুই দরজা রাখা নিশ্চিত করা। 

৩০. আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি যেহেতু সরকার মেনে নিয়েছে, সেহেতু তাদের দাবি অনুযায়ী গণপরিবহনে ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়া আদায় নিশ্চিত করা।

৩১. আইন লঙ্ঘন করে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি বন্ধ করা ।

৩২. সিএনজি অটোরিক্সা, টেক্সীক্যাব মিটারে চলাচল নিশ্চিত করা। যাত্রীর পছন্দের গন্তব্যে যেতে বাধ্য করা।

৩৩. রাইট শেয়ারিং এর গাড়িসমূহ অ্যাপসের বদলে খ্যাপের ভাড়ায় চলতে না পারে তা নিশ্চিত করা।
৩৪. গাড়ি আমদানির পূর্বে নিরাপত্তা, পরিবেশ সহায়ক ও বাংলাদেশের সড়কের অনুকূলে উপযোগী কিনা সার্বিক বিষয় নিশ্চিত হয়ে ছাড়পত্র প্রদান করা।

৩৫. গাড়ির পরিচালনাকালে গাড়ি চালক ও কন্ডাক্টারদের নেইম প্লেটসহ ইউনিফরম পরিধান নিশ্চিত করা।

৩৬. বাস টার্মিনাল ও বাস-বে কেন্দ্রিক গণশৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা। 

৩৭. গঠিত কমিটির ১১১টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অর্ধেকেরও বেশি সুপারিশ বাস্তবায়নকারী অথবা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের জনবল মাত্র ৮৫০ জন। বর্তমানে দেশের নিবন্ধিত যানবাহন প্রায় ৩৯ লাখ। অনিবন্ধিত যানবাহনসহ  প্রায় ৫০ লাখ। প্রতিষ্ঠানটি দৈনন্দিন যানবাহন নিবন্ধন, যানবাহনে মালিকানা পরিবর্তন, রুট পারমিট ইস্যু, যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ নতুন লাইসেন্স ইস্যু এবং প্রায় ৩/৪ লাখ লাইসেন্স নবায়ন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ গ্রহণ, চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সভায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে জনবল সংকটে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে এই ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়ন তাদের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ। কেননা একেকটি সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে যথেষ্ট অর্থ ও অভিজ্ঞ জনবল প্রয়োজন।

সুপারিশমালা প্রসঙ্গে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় অথবা বিআরটিএ এই বিষয়ে আলাদা একটি ইউনিট গঠন করে জরুরি ভিত্তিতে কিছু দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ জনবল নিয়োগ প্রদান করা হবে। এই ইউনিট গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রতিদিন দেশে সড়কে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, যানজট, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কাজ করবে। এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের করে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করবে।

এসএমএম