
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদেরই হঠাৎ ছাঁটাই কোনোভাবেই সমীচীন নয়। তাদের সংসার ও জীবনের কথা ভাবতে হবে। একান্ত প্রয়োজন হলে আগে থেকে নোটিশ এবং কয়েক মাসের বেতন দেয়ার বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।’
আজ রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর স্মরণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক জাগরণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'তার কাছ থেকে আমাদের বহু কিছু শেখার আছে। তিনি এমন মানুষ ছিলেন, যার কোনো শত্রু ছিলো না, থাকলেও তারা তাকে ভালোবাসতেন।'
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক জাগরণ সম্পাদক, পিআইবির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, পিআইবির পক্ষ থেকে প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মরণে যা যা করার দরকার, পরিচালনা পর্ষদের প্রধান হিসেবে তা আমি পুরোপুরি পালনের চেষ্টা করবো।
শাহ আলমগীরের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অর্থের যা খরচ হয়নি, তা দিয়ে পরিবারের সম্মতিতে প্রতি বছর সাংবাদিকদের মাঝে পদক দেয়ার ব্যবস্থার কথা জানিয়ে আবেদ খান বলেন, এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন- শাহ আলমগীরের স্ত্রী বেগম আলমগীর, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, প্রখ্যাত অভিনেতা হাসান ইমাম, প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন শাহ আলমগীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমএএম/আরআই