পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই দালালরা সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী ও গুলিস্থান ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করছে। দালাল চক্রটি বাসের টিকেট কৌশলে কাউন্টার থেকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। অথচ কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, টিকেট শেষ হয়ে গিয়েছে।
রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও পার্বত্য চট্টগামের প্রায় ২২টি অঞ্চলে বাস চলাচল করে থাকে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের জনপদ মোড় থেকে নোয়াখালী, লক্ষীপুর জেলার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। এদিকে চাঁদপুরগামী বাসগুলো সায়েদাবাদ রেলগেট এলাকার করাতিটোলা সি এম এস মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের গেট থেকে মফস্বলের উদ্দেশ্যে ছাড়ছে।
গতকাল শনিবার (১৮ মে) রাতে বাস টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করার পূর্বেই দালালের খপ্পরে পড়তে হয় যাত্রীদের। এই দালালদের মাধ্যমে যাত্রীদের অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হয় টিকিট। চাঁদপুরগামী পদ্মা সার্ভিসের একটি পরিবহনের যাত্রীদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাড়া নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় পদ্মা বাসের কন্ডাক্টর মফিজুল ইসলামের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে চাঁদপুর ২২০ টাকা। কিন্তু যাত্রীরা বেশি টাকা দিয়ে দালালের কাছ থেকে টিকেট কিনছেন ২৫০ টাকায়। চাঁদপুর ও রামগঞ্জগামী যাত্রীরা সঠিক স্থান থেকে গাড়িতে না উঠায় ও কাউন্টার থেকে টিকেট না কেনায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট স্কুল গেইট থেকে চাঁদপুর ও রামগঞ্জগামী পদ্মা সার্ভিস, আল আরাফাহ ও তিশার সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া জনপদ এলাকা থেকে রয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস, কুমিল্লার রয়েল কোচসহ একাধিক পরিবহন সার্ভিস।
বাস টার্মিনালে ঘুরে জানা গেছে, ঈদ আসলেই দালাল চক্র গাড়ির টিকিট নকল করে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। এবার এখনো নকল টিকিট যাত্রীদের কাছে পাওয়া যায়নি। তবে দালালরা যাত্রীদের কাছ থেকে ২২০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা পর্যন্ত ( দিগুণ ) আদায় করছে। বাস
ঈদকে সামনে রেখে টার্মিনালগুলোতে দালালের খপ্পর থেকে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
এ বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা ওসমান আলী বলেন, জনসাধারণ যাতে করে বাড়ি গিয়ে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সে ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে ওসমান আলী কোন মন্তব্য করেননি।
এইচ এম/টিএফ