ঈদযাত্রায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এছাড়াও ট্রেনের সিডিউল বিপদর্যয়ের কারণে রেলপথের যাত্রীসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলেও সংগঠনটি দাবি করেছে।
গত কয়েকদিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার (১ জুন) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব অভিযোগ করে।
গত কয়েকদিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার (১ জুন) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই অভিযোগ করে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদকে ঘিরে সড়ক পথে হতেগোনা কয়েকটি রুট ছাড়া প্রায় সব কটি রুটে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে। নৌ-পথে লঞ্চের কর্মচারীরা ডেকে তাদের চাঁদর বিছিয়ে রেখে ডেক শ্রেণীর যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার টিকিটেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট গুলোতে নিয়োজিত ইজারাদাররা ঘাট ইজারা ও খেয়া পারাপারের নামে অতিরিক্ত টোল আদায়ের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ থাকার সত্ত্বেও যাত্রীরা এহেন নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে।
সংগঠনটি আরও দাবি করেন, রেলপথে বেশিরভাগ ট্রেনের শিডিউল লণ্ডভণ্ড থাকায় রেলপথের যাত্রীসাধারণ পরিবার-পরিজন নিয়ে স্টেশনে এসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আকাশপথে কোনো কোনো রুটে ঈদযাত্রার টিকিট ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। সড়ক, নৌ ও রেল-পথে বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা থাকলেও আকাশপথে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা অন্য কোন সংস্থার তৎপরতা দেখা যায়নি।
সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর অভিযোগ, এহেন ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না। এতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী বাড়বে। গণপরিবহন সংকটের কারণে ও কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় নিম্ন আয়ের লোকজন ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি অনতিবিলম্বে ঈদযাত্রায় এহেন ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভালো থাকায় বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে, নৌ-পথে বেশকটি নৌরুটের ড্রেজিং সম্পন্ন হওয়ায় নৌরুটেও এর সুফল মিলেছে। এহেন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী মেনে নেয়া যায় না।
একেএস