• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০৬:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০১৯, ০৬:৪৬ পিএম

‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে’

‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম- ছবি: জাগরণ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বাড়ি বা বাড়ির আশেপাশে তিন দিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। কারণ তিন দিনের বেশি জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা বংশ-বিস্তার করে এই মশার জন্য জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ১১টা থেকে শুরু করে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নগরীর সম্প্রসারিত এলাকার দুটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। ওয়ার্ড দুটি হচ্ছে- সাবেক সাতারকুল ইউনিয়ন (৪১ নং ওয়ার্ড) ও বাড্ডা ইউনিয়ন (৩৮ নং ওয়ার্ড)। এই দু’টি ওয়ার্ডের বেরাইদ, সাতারকুল, দাদার বাজার, আলী নূর, উত্তর বাড্ডাসহ কয়েকটি পথসভায় যোগদান করেন। 

এছাড়া ৩৮ ও ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন তিনি। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, জনগণকে উন্নয়ন পরিকল্পনায় আরো বেশি করে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি জনগণের মাঝে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক তথ্যসম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।

পথসভায় জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সম্প্রসারিত এলাকা সমূহের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। এজন্য ৪ হাজার ২ শত কোটি টাকা একনেকে শিগগিরই অনুমোদন হবে। এর আগেই প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ডিএনসিসির ফান্ড থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রশস্ত রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, কমিউনিটি সেন্টার,খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী এসব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জায়গা অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। এসব অধিগ্রহণের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

মেয়র বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এখনই এসব অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের কথা মাথায় রেখে সম্প্রসারিত এলাকাসমূহের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

এসব এলাকা পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ও শেখ সেলিম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এম মনজুর হোসেন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন,আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান,প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া।


টিএইচ/টিএফ