• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৮, ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম

ঈদুল আজহায় শুক্রবারসহ টানা ৯ দিনের ছুটি!

ঈদুল আজহায় শুক্রবারসহ টানা ৯ দিনের ছুটি!

ঈদুল আজহা মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। দিনটি উদযাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। ঈদুল ফিতরের ন্যায় এই ঈদেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার যুদ্ধ শুরু করবেন। 

আসন্ন ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীরা শুক্রবারসহ টানা ৯ দিনের ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন। এবার কোরবানি ঈদের ছুটির আগে-পরে সাপ্তাহিক ছুটি এবং জাতীয় শোক দিবসের ছুটির মধ্যে একটি কর্মদিবস রয়েছে। এই কর্মদিবসে ছুটি নিতে পারলে টানা ৯ দিনের ছুটি হবে। 

এবার ঈদুল ফিতরেও এমন অবস্থা হয়েছিল। ঈদের ছুটির আগে-পরে সাপ্তাহিক ছুটি, লাইলাতুল কদরের ছুটির মধ্যে একটি কর্মদিবস ছিল। সেই দিনটিকে ছুটি ঘোষণার মাধ্যমে টানা ৯ দিনের ছুটি দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় এলেও তা আর হয়নি।

সরকারি ছুটির তালিকায় আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল আজহা ১১ আগস্ট হতে পারে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে। আইএসি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১ আগস্ট জিলহজের নতুন চাঁদ দেখা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট।

সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আমিরাতে পবিত্র ঈদ পালিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশে পালিত হয়। এ অনুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে ২ আগস্ট এবং ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ আগস্ট। ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা হলে ছুটি থাকবে ১১, ১২ ও ১৩ আগস্ট অর্থাৎ রবি, সোম ও মঙ্গলবার। এর আগে শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। ঈদের ছুটির পর ১৪ আগস্ট (বুধবার) অফিস খোলা। এর পরের দিন ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) জাতীয় শোক দিবসে সরকারি ছুটি। শোক দিবসের ছুটির পর ১৬ ও ১৭ (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে এবার ঈদেও ৯ দিনের ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেক্ষেত্রে ১৪ আগস্ট (বুধবার) ছুটি নিশ্চিত করতে হবে।

৯ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ৯ দিনের মধ্যে শুধু ১৪ আগস্ট বুধবার অফিস খোলা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈদুল ফিতরের সময়ও আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, উপরের আদেশ না এলে কোনো উপায় থাকে না। এ কারণে ছুটি বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, সরকারের একদিন ছুটি থাকলে অনেক টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়। 
মাঝখানের একদিন ছুটি হবে বলে শুনছিলাম, কিন্ত শেষ পর্যন্ত তো আর হলো না। আশা করি, এবার হবে। কারণ, মাঝখানে একদিন খোলা থাকলে, আসলে ওইদিন অফিসে সেভাবে কাজ হয় না। 

সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, টানা ৯ দিনের ছুটি পেতে তারা ১৪ আগস্ট ছুটি নেবেন। তাই সরকারই ওইদিন ছুটি দিয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনে ওইদিনের অফিস পরবর্তী কোনো ছুটির দিনে নেয়া হোক।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সাধারণ ছুটি। এ ছাড়া এই দুই ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকে। এই দুই ঈদে ৩ দিন করে ছুটি থাকে। ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের সময় শবে কদর, সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ঈদুল ফিতরের ছুটি মিলিয়ে টানা ৯ দিনের ছুটির মধ্যে একদিন অফিস খোলা ছিল। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অফিস আদেশের মাধ্যমে একদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

ঈদুল আজহার ছুটি ও জাতীয় শোক দিবসের ছুটির মধ্যে একদিন কর্মদিবস রয়েছে, এদিন ছুটি দেয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কি না- এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার একদিনের ছুটি মঞ্জুর না-ও করতে পারে। কারণ এবার বিশাল আকারের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। একদিন ছুটি থাকলে অনেক রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয় সরকারকে। এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাননি কেউ।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদ মানেই অনন্দ, আর ঈদ মানেই স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়া। এর মধ্যেই সদরঘাট টার্মিনাল অন্যসময়ের চেয়ে গত ঈদুল ফিতরে খুব সুন্দর ব্যবস্থাপনা ছিল। এবার ঈদুল আজহায় টার্মিনালের অবস্থা অগের চেয়ে অনেক ভালো হবে বলে বিশ্বাস তার। তিনি বলেন, পন্টুন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এবার ঈদে সদরঘাট অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সুশৃঙ্খল থাকবে। 

টিএইচ/ এফসি