সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়টি বিচেনার জন্য দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। এখন জন্মনিবন্ধন হয়। বয়স লুকানো যায় না।
চীনে পাঁচ দিনের দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরের বিষয়ে সোমবার (৮ জুলাই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তিনটি বিসিএস পরীক্ষার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ৩৫ তম বিসিএসের ফলাফলে দেখা যায় ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের পাসের হার ৪০ শতাংশ। ২৫ থেকে ২৭ বছর বয়সীদের পাসের হার ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের পাসের হার ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর ২৯ এর উপর পাসের হার মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, ৩৬ তম বিসিএসের ফলাফলে দেখা যায় ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের পাসের হার ৩৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২৫ থেকে ২৭ বছর বয়সীদের পাসের হার ৩৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ২৭ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের পাসের হার ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর ২৯ এর উপর পাসের হার মাত্র ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। ফলে এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। তারা আন্দোলন করছে করুক। আন্দোলন ভালো জিনিস। আন্দোলন করলে রাজনীতি শেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দাবি তোলার জন্য নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও থেকে তারা প্রেরণা পাচ্ছেন। কিন্তু তার পরিণতিটা কী দাঁড়াবে? চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হলে ট্রেনিং শেষে চাকরিতে ৩৭ বছর বয়সে জয়েন। কিন্তু চাকরি ২৫ বছর না হলে তো তারা পূর্ণাঙ্গ পেনশন পাবেন না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। যারা যুবক যারা মেধাবী কর্মক্ষমতা ভালো তাদের দিয়েই তো কাজ করাতে হবে। তাদের দাবির বিষয়টি দেশবাসী বিচার করুক।
জেডএইচ/এসএমএম