সরকারের নীতি-নির্ধারণী বিষয়, মাঠ প্রশাসনে শৃঙ্খলা, উন্নয়ন কর্মসূচি ও অন্যান্য প্রাধিকার সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অবহিত করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (১৪ জুলাই)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সকালে তার কার্যালয়ের শাপলা হলে ৫ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পর্যায়ক্রমে ডিসিরা বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে।
প্রতি বছর আয়োজন করা হয় ডিসি সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন হবে ২৯টি। কার্য অধিবেশন হবে ২৪টি। সম্মেলনে ৩৩৩টি প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। এর মধ্যে ১টি কার্যালয়, ৫৪টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ সম্পর্কিত।
৫ দিনব্যাপী কার্যসূচি :
১৪ জুলাই, রোববার (প্রথম দিবস) :
# সকাল ৯ টা : ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিবস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে উদ্বোধন এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যসহ এই সেশন চলবে সকাল ১০.৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
# দুপুর- ১১টা থেকে ১২টা : প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের করবী হলে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা।
# দুপুর ১২.১৫ থেকে ১২.৩০ : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশন (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাইগারস গেট)।
কার্য অধিবেশন (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষ, সচিবালয়) :
# দুপুর ২.৩১ থেকে বিকাল ৪টা : মুক্তিযুদ্ধ, সমাজকল্যাণ ও যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক।
# ৪.০১ থেকে বিকাল ৫টা : পরিবেশ বন ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক।
১৫ জুলাই সোমবার, দ্বিতীয় দিবস, (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষ, সচিবালয়) :
প্রথম অধিবেশন : সকাল ৮.৪৫ থেকে সকাল ৯.৪৫টা : অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক।
দ্বিতীয় অধিবেশন : সকাল ৯.৪৬ থেকে ১০.৪৫ : বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক।
তৃতীয় অধিবেশন : সকাল ১১.০১ থেকে ১২.৩০ : মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক।
চতুর্থ অধিবেশন : সকাল ১১.৩১ থেকে ১.৩০: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক।
পঞ্চম অধিবেশন (করবী হল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) : বিকাল ৩.৩০ থেকে বিকাল ৫.৩০ : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আওতাধীন সংস্থাসমূহের সঙ্গে বৈঠক।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক (বঙ্গভবন) : সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে ৯টা।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার, তৃতীয় দিবস (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষ, সচিবালয়) :
সকাল ৮.৪৫ থেকে ৯.৪৫ : খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক। এর পর থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৩.১৫পর্যন্ত পানি, নৌ, বাণিজ্য, শিল্প, বস্ত্র, প্রবাসী কল্যাণ, শ্রম কর্মসংস্থান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক।
বিকাল ৪টা থেকে ৫টা (হাইকোর্ট) : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক।
১৭ জুলাই বুধবার, চতুর্থ দিবস (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষ, সচিবালয়) :
সকাল ৮.৪৫ থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সড়ক পরিবহন, সেতু বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, মহিলা ও শিশু, ভূমি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ, কৃষি, মৎস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক। এই অধিবেশনে প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বৈঠকে তিন বাহিনী প্রধানগণ অংশ নেবেন।
১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিবস (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষ, সচিবালয়) :
সকাল ৮.৪৫ থেকে বেলা ১১.৩০টা পর্যন্ত জনপ্রশাসন, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক।
দুপুর ১টা : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষে ডিসি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান।
বিকাল ৪টা থেকে ৫টা : জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক।
এমএএম/ এফসি