বিশেষ মতলবে প্রিয়া সাহা এমন উদ্ভট কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। প্রিয়ার বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা। একই সঙ্গে আমি এমন আচরণের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে এক সমাবেশে যোগ দিয়ে লন্ডন রওনা হওয়ার আগে গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রিয়া সাহার অভিযোগের অসারতা তুলে ধরে মোমেন বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু, যদিও তারা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন তিনি বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেছেন। তাই প্রিয়া সাহার বক্তব্য যে অন্তঃসারশূন্য এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে জঘন্য মিথ্যাচার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধরনের অভিযোগে প্রকারান্তরে শান্তিপূর্ণ সমাজে বিশৃঙ্খলা উস্কে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা কখনও হতে দেবে না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হচ্ছে না, সেই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য পূরণেই প্রিয়া সাহা এই অভিযোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রিয়া সাহা বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
জেডএইচ/একেএস